বৈশাখ এলেই এর সাথে আসে কালবৈশাখীর তাণ্ডবের কথা। প্রলয়ংকরী ঝড়ে লন্ডভন্ড করে বসত ভিটা, জমি জিরেত, তারপরেও আবারো ফিরে দাঁড়ায় ঝড়ঝঞ্ঝার সাথে লড়াই করা প্রতিটি বাঙালি। নতুন করে বাঁচার স্বপ্নে শুরু হয় ঘর বাঁধা। এসব দুঃখ-দূর্যোগকে ভুলে পুরো জাতিই মেতে ওঠে পহেলা বৈশাখের নববর্ষ পালনের আনন্দে।



শুভ নববর্ষ উত্সব জাতীয় জীবনে সর্বাঙ্গীন। জাতীয় এই উৎসবটি এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসবে পরিণত হয়েছে। এদিনে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই বাংলা বছরের প্রথম দিনকে বরণের আনন্দে থাকে মাতোয়ারা। উৎসব প্রিয় বাঙালিরা জাতীয় উন্নয়নে এসব পার্বন থেকে নতুন সঞ্জিবনী শক্তি নিয়ে দেশের জন্য কাজ করলেই আর পিছিয়ে থাকবেনা আমার প্রিয় স্বদেশ, বাংলাদেশ। স্বাগতম বাংলা নববর্ষ ১৪২৬! সকল অশুভ শক্তিকে পেছনে ফেলে নতুনের দিনের শুভ সূচনা হোক, জাতি খুঁজে নিবে নতুন মুক্তির দিশারী।


বাংলা কবিতা আসরের সাথে যুক্ত সকল লেখক-লেখিকা ও কবিগণ সহ সহৃদয় পাঠক-পাঠিকাগণকে জানাই শুভ নববর্ষের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা। সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!


এসো হে বৈশাখ
             লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


নববর্ষের আলোকে আলোকিত ধরা,
সুন্দর প্রকৃতি হেরি রূপে মনোহরা।
বিহগের কলরব তরুর শাখায়,
অজয়ের নদীঘাটে মাঝি নৌকা বায়।


এসো হে বৈশাখমাস! এসো এসো ত্বরা,
প্রখর উত্তাপে নাশো শোক তাপ জরা।
দুঃখের আঁধার রাতি কেটে হোক ভোর।
আজি শুভ নববর্ষে লহ প্রীতি মোর।


গেছে চলে চৈত্র মাস, আসিল বৈশাখ,
তমোময় অন্ধকার সব মুছে যাক।
আসুক ধরায় নব আনন্দ নিয়ত,
দূরীভূত হোক আজি দুঃখ শোক যত।


শুভ নববর্ষ আসে এই বসুধায়,
লিখিল লক্ষ্মণকবি তার কবিতায়।