শীতের ঠাণ্ডা, রুক্ষতা, শুষ্কতাকে বিদায় জানাতেই যেন আসছে ফাল্গুন। তাই হৃদয়ে লেগেছে ফাল্গুনের হাওয়া। আমাদের সকলের মনে এই ফাল্গুনকে বরণ করে নেয়ার প্রস্তুতি চলছে। প্রকৃতির পাশাপাশি নিজেদেরও নতুন রূপে সাজিয়ে বসন্তকে বরণ করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন সবাই।


তরুর শাখায় শাখায় নব কিশলয় আর আমের শাখে নব মুকুলিত মঞ্জুরী প্রকৃতিকে সৌরভে আমোদিত করে। শিমূলের গাছে গাছে প্রাকৃতিক বসন্ত উৎসব লেগে গেছে। পলাশের বনে উড়তে থাকে শত শত পাখি। কিচিরমিচির ধ্বনিতে ঋতুরাজকে স্বাগত জানাতে ব্যস্ত তারা।


মধু খেতে আসা পাখিদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে সরীসৃপ প্রাণী কাঠবেড়ালিও। পলাশের বনে বনে তারা পলাশ ফুলের মধু গ্রহণ করবে এই অভিপ্রায় নিয়ে তারা ছুটে আসে এখানে। পলাশের রং লাগে সবার হৃদয়ে। বসুন্ধরা সেজে উঠে অপরূপ সাজে। বসন্তের রঙে মন রাঙিয়ে তুলতে নব বসন্তের আগমন।


“ফাগুন রাঙানো শিমূল পলাশ” কবিতাটি নব বসন্তের আগমনে লেখা প্রকৃতির কবিতা। এই কবিতায় ফাল্গুনে বনে বনে পলাশ আর শিমূলের গাছে ফুটে ওঠা রং-বাহারি ফুলের সৌরভে ছুটে আসা অলির গুঞ্জনের কথা কবিতায় বলা হয়েছে। আরো বলা হয়েছে অজয় নদীর বাঁকে শাল, পলাশ আর শিমুলের বনে বনে প্রকৃতির শোভা অতি মনোহর।


বাংলা কবিতা আসরের সাথে সংযুক্ত সকল কবিবন্ধুদের জানাই ফাগুন শুভেচ্ছা।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!



ফাগুন রাঙানো শিমূল পলাশ
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


ফাগুন রাঙানো শিমূল পলাশ
বসন্তের রং মাখে,
বসন্তের দূত কুহু কুহু তানে
আম্রশাখে বসি ডাকে।


কুসুম কাননে ফুলকলি ফুটে
অলিরা করে গুঞ্জন,
তরুশাখে হেরি নব কিশলয়
হৃদয়ে জাগে স্পন্দন।


অজয়ের চরে বসি খেলা করে
শালিকেরা ঝাঁকেঝাঁকে,
শাল, পলাশ ও শিমূলের বন
অজয় নদীর বাঁকে।


ফাগুন রাঙানো বসন্ত প্রভাতে
উঠিল সোনার রবি,
বসন্তের রঙে বসুন্ধরা সাজে
হেরি অপরূপ ছবি।


মহুলের বনে মহুল তলায়
বাতাসের নেশা লাগে,
ফাগুন রাঙানো বসন্তে আজিকে
হৃদয়ে পুলক জাগে।