গাঁ আমার মা মাটি আমার ভালবাসা
আমার গাঁয়ের কবিতা (পঞ্চম পর্ব)
            কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


আমাদের ছোট গাঁয়ে সুশীতল তরুছায়ে
ছোট ছোট মাটির কুটির,
দূরে গ্রাম সীমানায় রাঙাপথ চলে যায়
দেখা যায় অজয়ের তীর।


রাঙাপথে দুইধারে তালগাছ সারে সারে
খেজুর সুপারি আম জাম,
নয়ন দিঘির জলে রাজহাঁস ভেসে চলে
পানকৌড়ি ডুবে অবিরাম।


সবুজ ডাঙার পরে গরু ও মহিষ চরে
রাখাল বাজায় তার বাঁশি,
সবুজ লতানো গাছে খেতমাঠ ভরে আছে
মাঠে মাঠে চাষ করে চাষী।


বধূরা কলসী কাঁখে জল নিয়ে দিঘি থেকে
চলে সবে আপন ঘরেতে,
পাড়ার কুকুরগুলো রাস্তায় উড়ায় ধূলো,
আঁকাবাঁকা সরু গলি পথে,


দিনশেষে তারপরে সূর্যি ডুবে নদীচরে
সাঁঝের আঁধার নামে গাঁয়ে,
আমার গাঁয়ের মাঝে সাঁঝের সানাই বাজে
দূরে কাঁকন তলার বাঁয়ে।


কভু কভু মধ্যরাতে ফকিরডাঙার মাঠে
শৃগালেরা হুক্কা হুয়া ডাকে,
শীতল সমীর বয় নতুন প্রভাত হয়
উঠে রবি আকাশের ফাঁকে।