গাঁয়ে আছে স্নেহের পরশ
আছে ছায়া সুশীতল,
গাঁয়ের পাশে অজয় নদীটি
বয়ে চলে কল কল।


বাজায় বাঁশি গাঁয়ের রাখাল,
প্রাণ করে আনচান,
নৌকা চালায় গায়ের মাঝি
গেয়ে ভাটিয়ালি গান।


গাঁয়ের বধূরা রাঙাপথে চলে
মাটির কলসী কাঁখে,
শালিক পাখি পথের বাঁকে
উড়িছে ঝাঁকে ঝাঁকে।


পথের ধারে ধানের খেতে
ফিঙে পাখি রোজ আসে,
বনটিয়া এসে সবুজ ডাঙায়
ঘুরে বেড়ায় সবুজ ঘাসে।


কাঁকনতলার মাঠের ধারে
মেঘেরা দিগন্তে মেশে,
পড়ন্ত বিকালে সূর্য লুকায়
নদীরা কিনারা ঘেঁষে।


আঁধার নামে গাঁয়ের পথে
জোনাকিরা সব জ্বলে,
পথের বাঁকে শেয়াল হাঁকে
রজনী গভীর হলে।