গাঁয়ে আছে স্নেহছায়া …….আছে মায়া
আমার গাঁয়ের কবিতা-৯ (নবম পর্ব)
কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


আমার গাঁয়ে সবুজ ছায়ে
আছে ছোট ছোট ঘর,
সামনে দিয়ে বইছে নদী
কুলু কুলু নিরন্তর।


আমার গাঁয়ে পথের বাঁয়ে
নয়ন দিঘির ঘাট,
উত্তরে ওই যায় যে দেখা
কাঁকন তলার মাঠ।


আকাশপারে পূবের কোণে
সকালে সোনার রবি,
সোনার আলো কিরণ ছড়ায়
ভাসে অপরূপ ছবি।


তরুর শাখে পাখিরা গাহে
ফুল ফোটে ফুল বনে,
ফুলের কলি ফুটে সকলি
ধেয়ে আসে অলিগণে।


পথের বাঁকে কলসী কাঁখে
দাঁড়িয়ে গাঁয়ের বধূ,
সামনে দিয়ে ভুলো কুকুর
হাঁক দেয় শুধু শুধু।


রাঙামাটির পথের ধূলো
উড়িয়ে গরুর গাড়ি,
সেই গাড়িতে বোঝাই করা
মাটির কলসী হাঁড়ি।


তালদিঘিতে সাঁতার কাটে
বুনো হাঁসদের দল,
পানকৌড়িরা জলের ধারে
ডুব দেয় অবিরল।


দুপুর হলে গামছা পরে
ছেলেরা স্নানের ঘাটে,
ঘাটেতে বসে সাবান মাখে
কেহবা সাঁতার কাটে।


বিকাল হলে পাড়ার মাঠে
পড়ে আসে যবে বেলা,
সবাই মিলে জুটে সকলে
খেলে ফুটবল খেলা।


দিনের শেষে পাখিরা যবে
ফেরে আপন বাসায়,
আমার গাঁয়ে আঁধার নামে
বাজে সাঁঝের সানাই।