গাঁয়ের কবিতা মাটির গান কবিতা-৭
-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


সকাল হলো পূব আকাশে
উঠলো প্রভাত রবি,
সোনার আলো ছড়িয়ে দিলো
আঁকলো রঙিন ছবি।


ফুলের বনে ফুল ফুটেছে
তরুশাখে গাহে পাখি,
অজয় ঘাটে যাত্রীরা আসে
মাথায় পসরা রাখি।


প্রভাত কালে রাখাল ছেলে
গরু নিয়ে মাঠে যায়,
পথের বাঁয়ে বটের ছায়ে
বাঁশের বাঁশি বাজায়।


তালদিঘিতে সাঁতার কাটে
মরাল মরালী পিছে,
চিল ফুকারে গগনতলে
নীল আকাশের নীচে।


দুপুর হলে গাঁয়ের বধূ
কাঁখেতে কলসী নিয়ে,
স্নানের পরে সিক্ত বসনে
হাঁটে রাঙাপথ দিয়ে।


বিকেল হলে গাঁয়ের ছেলে
সকলেই আসে মাঠে,
সকলে মিলে কাবাডি খেলে
সূর্য বসে শেষে পাটে।


আমার গাঁয়ে আঁধার নামে
দিনশেষে সাঁঝ হয়,
নিশুতি রাতে চাঁদ ও তারা
একসাথে কথা কয়।