গাঁয়ের মাঝে        সকাল সাঁঝে
      ঢোল বাজে বাজে কাঁসি,
গাঁয়ের মাটি         বিশুদ্ধ খাঁটি
      আমি গাঁ কে ভালবাসি।


সোনার রবি          ছড়ায় কিরণ
      শিশির ভেজানো ঘাসে,
সোনালী আভায়     ঘাসের আগায়
      শিশিরের কণা হাসে।


প্রভাতী হাওয়া     ঢেউ খেলে যায়
      সবুজ ধানের খেতে,
গাঁয়ের রাখাল      বাজায় বাঁশি
      হৃদয় ওঠে যে মেতে।


অজয়ের জলে     সাদা পাল তুলে
     নৌকা দুলে দুলে ভাসে,
নদীতট বাঁকে    দেখি ঝাঁকেঝাঁকে
     সাদা বক উড়ে আসে।


গাঁয়ের বধূরা        কলসী কাঁখে
     জল নিয়ে ঘরে যায়,
পরণে তাদের      লালপেড়ে শাড়ি
     আলতা পরানো পায়।


দিঘির পাড়ে       আছে সারে সারে
      বিশাল সবুজ গাছ,
সকাল হলে        জেলেরা সকলে
      জাল ফেলে ধরে মাছ।


দিঘির জলে        শালুক ফোটে
      ফোটে কুমুদ কমল,
স্নানের ঘাটে       সাঁতার কাটে
      পাড়ার ছেলের দল।


বেলা পড়ে এলে   ছেলেরা সকলে
      মাঠে খেলে এক সাথে,
ক্লান্ত পাখিরা       দিবসের শেষে
     ফেরে আপন বাসাতে।


পশ্চিমের পানে     সূর্য ডুবে শেষে
      দিনের আলোক লুকায়,
সাঁঝের আকাশে     চাঁদ তারা হাসে
      গাঁয়ের সবাই ঘুমায়।


রাতি নির্জন        ঘুমায় সবাই
      কুকুরেরা শুধু জাগে,
পূবের আকাশ     লাল হয়ে আসে
      মেঘে মেঘে রং লাগে।