শীতের অবসান ঘটিয়ে আনন্দ বার্তা নিয়ে উপস্থিত হয় ঋতুরাজ বসন্ত। ফুলের সৌরভ আর অপরূপ রূপ প্রেমিক মনকে করে তোলে উদাসী। এই উদাসী মনকে প্রশান্তি দিতে মধুর কণ্ঠে অবিরাম গান শোনায় কোকিল। আর এই ভাষা ও ভালোবাসার মাসের মাঝামাঝি সময়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চলে যায় একটা সপ্তাহ, যাকে আমরা বলি ‘ভ্যালেন্টাইন্স উইক’।


ভালোবাসার প্রতীক হল লাল গোলাপ। ভালোবাসার এই প্রতীকটির দিবস আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম নামকরণ করেন ডেনমার্কের রানি আলেকজান্দ্রা। ৫০তম বিবাহবার্ষিকীতে আলেকজান্দ্রা লন্ডনে এলে লন্ডনের অধিবাসীরা তাকে হাজার হাজার লাল গোলাপ দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। আলেকজান্দ্রা এত গোলাপ দেখে তো হতবাক! তিনি এক সিদ্ধান্ত নিলেন, এই হাজারখানেক গোলাপগু বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে দরিদ্র, অসুস্থ মানুষদের প্রতি সেবার, ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দিতে বললেন। লাল গোলাপ দিয়ে ‘তার’ মুখে হাসি ফোটানোর জন্য পালিত হয় বিশেষ রোজ ডে।


‘সখী ভালোবাসা কারে কয়’—বহু বছর আগে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এভাবেই ভালোবাসার অর্থ খুঁজেছিলেন।  কারণ, ভালোবাসার অর্থ যে গভীর দ্যোতনাময়। এই অর্থটি বুঝতে এবং অপরকে বুঝাতে আপনিও ভালেন্টাইন’স পঞ্জিকার সাতটি দিন উদযাপন করতে পারেন আপনার প্রিয়জনকে নিয়ে। তাহলে কি শুধু একটি দিন বা একটি সপ্তাহ ভালোবাসার জন্য? অবশ্যই নয়। ভালোবাসা হলো সারা বছরের, সারা দিনের। সারা জীবনের। তাই ভালোবাসার মানুষটির বা মানুষগুলোর সাথেই থাকুন, তাদের সাথেই উপভোগ করতে পারেন আপনি নববসন্তের প্রকৃতি।


বাংলা কবিতা আসরের সকল কবিগণকে জানাই পবিত্রতম হ্যাপি রোজ ডে (গোলাপ দিবস)-এর আন্তরিক প্রীতি আর শুভেচ্ছা। বাংলা কবিতার জয় হোক, বাংলার কবিগণের জয় হোক, বাংলা কবিতা আসরের জয় হোক। সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। সকলের পাশে দাঁড়ান। জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!



গোলাপের বিনিময়ে
                  লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


গোলাপ দিবস আজি জানে সর্বজনে,
প্রেমের গোলাপ ফুটে হৃদয় কাননে।
গোলাপের ভালবাসা ব্যর্থ নাহি হয়,
ভালবাসা করে জয়, সবার হৃদয়।


গোলাপের বিনিময়ে প্রীতির বন্ধন,
শুভেচ্ছার বিনিময়ে প্রফুল্লিত মন।
ভালবেসে কর যদি গোলাপ প্রদান,
দিনে দিনে বৃদ্ধি হয়, অর্থ যশ মান।


করিলে গোলাপ দান ভালবাসা হয়,
মিলেমিশে থাকে দুটি অভিন্ন হৃদয়।
হৃদয়ের ভালবাসা পবিত্র গোলাপ,
গোলাপ প্রদানে তাই নাহি হয় পাপ।


ভালবাসা মূল্য দিয়ে কেনা নাহি যায়,
লিখিল লক্ষ্মণ কবি তার কবিতায়।