গ্রাম্যদেবী আখ্যান পূজার কবিতা
কলমে -কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


মাঘ মাসের প্রথম দিনে শীতের মাঝে গ্রাম্যদেবী আখ্যান পূজার সামাজিক উপাখ্যান।
গ্রামসীমানার কাছে গ্রামদেবীর মন্দিরের পাশে গনগন করে জ্বলে আগুন। মনে হয় যেন হোমের অগ্নিকুণ্ড। গ্রামবাসীদের অর্ঘ্য হিসাবে দিতে হয় খানিকটা চাল বা গম শস্যদানা। সে সব হল প্রণামী। এসবের জন্য অবশ্য জোরাজুরি নেই। হোমকুণ্ডের মতো কাঠের আগুন জ্বালিয়ে গ্রামের নারীরা রান্না করতে থাকে। রান্না করে খিচুড়ি আর বলি প্রদত্ত ছাগপশুর মাংস। সারাদিন ধরে  ফল প্রসাদ  চিড়া ভোগ ও খিচুড়ি ভোগ খাওয়া দাওয়া চলতে থাকে।


আজিকে অখ্যান পূজা পূণ্য মাঘমাসে,
গ্রাম্য দেবীপূজা দিতে সকলেই আসে।
গ্রামবাসী সকলেই আসে পূজা স্থানে,
গ্রাম্যদেবী বলি তাঁরে সকলেই মানে।


নতুন আতপ চাল, চিড়ে, গুড় আর,
প্রসাদ মিষ্টান্ন, ফল, কলা বাতাসার।
নব বস্ত্রে আচ্ছাদিয়া নৈবেদ্য সকল,
কলাপত্রে রাখে সব, ফুল আর ফল।


মৃত্তিকা নির্মিত ঘোড়া বিশাল আকার,
সিঁদুরে লাগায় টীকা মস্তকে তাহার।
শিশুবৃদ্ধা যুবা সব গাহে সুরে সুরে,
ধুনুচি লইয়া নাচে সবে  ঘুরে ঘুরে।


ঢাক বাজে, বাদ্যি বাজে, মহা ধূমধাম,
সকলেই নৃত্য করে মেতে উঠে গ্রাম।
ছাগ এক যূপ-কাষ্ঠে হয় বলিদান,
পশুরক্তে দেবীপূজা শাস্ত্রের বিধান।


গ্রাম সীমানার কাছে খিচুড়ি পরব,
সারাদিন ধরি আজি খুশি কলরব।
ধুনুচি লইয়া সবে নাচে আর গায়,
লিখিল লক্ষ্মণ কবি তার কবিতায়।