কালী কালী মহাকালী......  কালরাত্রি দেবী চণ্ডিকা
দেবী মহাকালী আগমনী স্তুতি (দ্বিতীয় পর্ব )
স্তুতিপাঠ ও কলমে লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


(শংখধ্বনি ও ঢাকের বাদ্য সহ কাঁসর-ঘন্টাধ্বনি)


(গীত)


ঔঁ জয়ন্তী মঙ্গলা কালী ভদ্রকালী কপালিনী
দুর্গা শিবা ক্ষমা ধাত্রী স্বাহা স্বধা নমোহস্তুতে।
ঔঁ কালী কালী মহা কালী কালিকে পাপনাশিনী
সুধা তমক্ষরে দেবী কালিকায়ৈ নমোহস্তুতে।


স্তুতিপাঠ


দেবী আসছেন! বেজে ওঠে মহাশঙ্খ।
ঢাকের শব্দে, কাঁসরের ঝংকারে
আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হয়।
চতুর্ভূজা মা কালী দেবীচণ্ডিকার আবির্ভাবে
তাঁর আগমনী বন্দনা গীতিতে
বিশ্ববাসীর কণ্ঠে ধ্বনিত হয়।


“কোথা তুমি শঙ্খ চক্র খড়্গ মহাস্ত্রধারিণী
কালী কপালিনী মা ছিন্নমস্তা!
তুমি ওঠো তুমি জাগো।
তুমি নেমে এসো ধরার বুকে পুনর্বার।
বাজাও তোমার প্রণববিষাণ মহাহুঙ্কারে,
মিলে যাক, মিশে যাক!
অধর্মের আছে যত ব্যভিচার।
সৃষ্টি হোক নতুন এক ধর্ম, নতুন এক যুগ।
জাগো জাগো মা!
তুমি না জাগলে সন্তানকূল ঘুমিয়ে পড়বে।
সন্তানকে অভয় দাও মা আদ্যাশক্তি মহামায়া”।


তুমি শক্তি, তুমি ভক্তি!
তুমি কলাকাষ্ঠা, কালরূপে অবস্থিতা,
তোমার পূণ্য স্তবগাথায় দিকে দিকে
ধ্বনিত হোক মঙ্গলশঙ্খ, জ্বলে উঠুক
মঙ্গল দীপ, প্রজ্বলিত হুতাশনের
দেদীপ্যমান কিরণে ধরণীর কোণে কোণে
ঘনঘোর তমসা বিদুরিত হোক।
ধরণী হোক প্রাণময়ী। হে মা কল্যাণময়ী!
তোমার আগমনে সারা বিশ্বচরাচরে
বিশ্ববাসীর স্বীয় কল্যাণে বিশ্ববাসী
গেয়ে উঠুক–


তারা তুমি, তুমি মা কালী,
তুমি দুর্গা মহামায়া।
তুমি শক্তি, তুমি মা ভক্তি
তুমি কালরূপী ছায়া।


প্রণাম মন্ত্র:
কালী কালী মহাকালী কালিকে কালরাত্রিকে।
ধর্ম কাম প্রদে দেবী নারায়ণী নমোহস্তুতে।।