কার্তিকে ধানের খেতে..... হেমন্তের পরশ লাগে
নবান্নের উত্সব ঘরে ঘরে (প্রথম পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


কার্তিকে ধানের খেতে সমীরণ উঠে মেতে
আলে বসে থাকে ফিঙেপাখি,
মাঠভরা সোনাধান শুনি সমধুর গান
প্রভাত পাখিরা উঠে ডাকি।


রাঙাপথে দুইধারে তালগাছ সারে সারে
বামে তার আছে ছোট দিঘি,
প্রভাত পাখিরা জাগে হিমের পরশ লাগে
রোদে জল করে ঝিকিমিকি।


ছাড়িয়া পূবের মাঠ সোজা অজয়ের ঘাট
নদী তার সুশীতল জল,
অজয়ের নদীচরে সোনালী কিরণ ঝরে
শালিকেরা করে কোলাহল।


চাষীসব মাঠে মাঠে সারাদিন ধান কাটে
মাঠে মাঠে কাটে সারাবেলা,
সূর্য ডুবে পশ্চিমেতে নবান্নের ধানখেতে
সাঙ্গ হয় দিবসের খেলা।


হলে সাঁঝের সময় মন্দিরে আরতি হয়
সুনীল আকাশে তারা ফুটে,
সাঁঝের আঁধার নামে আমাদের এই গ্রামে
পূরব গগনে চাঁদ উঠে।