কার্তিকে ধানের খেতে..... হেমন্তের পরশ লাগে
নবান্নের উত্সব ঘরে ঘরে (দ্বিতীয় পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


মাঠে মাঠে সোনা ধান মেতে উঠে চাষী প্রাণ,
সোনা ধান পাকে রাশি রাশি,
রজনী প্রভাত হলে চাষী সব মাঠে চলে
গান গেয়ে ধান কাটে চাষী।


সারি সারি গরু গাড়ি ধান নিয়ে চলে বাড়ি
রাঙাপথে লাল ধূলো উড়ে,
সোনা রোদ পড়ে ঝরে গাঁয়ের পথের পরে
বাজে বাঁশি রাখালিয়া সুরে।


অজয় নদীর বাঁকে পলাশের বন থাকে
আছে শাল পিয়ালের বন,
হেমন্তে পরশ লাগে হৃদয়ে পুলক জাগে
পুলকিত তনু আর মন।


অজয় নদীর ঘাটে সারাদিন বেলা কাটে
শালিকের দল খেলা করে,
গাঁয়ের পথের বাঁকে মাটির কলসী কাঁখে
চলে বধূ রাঙাপথ ধরে।


দিবাশেষে পশ্চিমেতে কার্তিকে ধানের খেতে
ডুবে রবি আলোক লুকায়,
সাঁঝের আঁধার নামে আমাদের এই গ্রামে
লিখিল লক্ষ্মণ কবিতায়।