কার্তিকের ধানের খেতে..... হেমন্তের আগমন
সোনার ধান জুড়ায় প্রাণ (চতুর্থ পর্ব)
কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


প্রভাতের সোনা ঝরা রোদ্দুর পাগল করা
সোনা রোদ হাসে নদীচরে,
সোনা ধান মাঠে মাঠে চাষী সব ধান কাটে
বেলা শেষে ফিরে যায় ঘরে।


অজয় নদীর বাঁকে শালিকেরা ঝাঁকে ঝাঁকে
কাঁকন তলার মাঠে উড়ে।
শাল পিয়ালের বনে নাচে সাঁওতালগণে
বাজে বাঁশি রাখালিয়া সুরে।


নয়ন দিঘির ঘাটে মরালী সাঁতার কাটে
মরালেরা পাছে পাছে ধায়,
বধুরা কলসী কাঁখে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে
জল নিয়ে নিজ ঘরে যায়।


বেলা যেই পড়ে হাসে পশ্চিমেতে সূর্য হাসে
দিনশেষে আলোক লুকায়।
সাঁঝের আঁধার নামে জ্বলে দীপ গ্রামে গ্রামে
অজয় তটিনী বয়ে যায়।


আকাশেতে চাঁদ উঠে একে একে তারা ফুটে
নদীজল ঝিকি মিকি করে,
অজয় নদীর চরে সারা নিশি রাত ধরে
নিশির শিশির পড়ে ঝরে।