কোজাগরী লক্ষ্মী হল দেবীর আরেক নাম, এটি বাঙালি হিন্দুদের জনপ্রিয় একটি উৎসব। লক্ষ্মীর পূজা অধিকাংশ হিন্দুর ঘরেই অনুষ্ঠিত হয়। দুর্গা পূজার ঠিক চার দিন পরে এই কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা করা হয়। এছাড়া অনেকেই প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপূজা করে থাকেন।।


লক্ষ্মীর ধ্যানমন্ত্র


ওঁ পাশাক্ষমালিকাম্ভোজ-সৃণিভির্ষাম্য-সৌম্যয়োঃ। পদ্মাসনাস্থাং ধ্যায়েচ্চ শ্রিয়ং ত্রৈলোক্যমাতরম্।। গৌরবর্ণাং সুরুপাঞ্চ সর্বলঙ্কার-ভূষিতাম্। রৌক্মপদ্ম-ব্যগ্রকরাং বরদাং দক্ষিণেন তু।।


মাটির মূর্তি বানিয়ে লক্ষ্মী পূজা করা হয়। দীপাবলি ও কোজাগরী পূর্ণিমার দিন তাঁর বিশেষ পূজা হয়।এইদিন উপবাস থেকে সন্ধ্যায় মা লক্ষ্মীর পূজা করা হয়। পূজার শেষে প্রচলিত নিয়ম অনুসারে বাড়ির স্ত্রীলোকেরা লক্ষ্মীর পাঁচালী পাঠ করেন।


কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা
             -লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


প্রণমামি লক্ষ্মীদেবী তুমি মা জননী,
ঐশ্বর্য বৈভব আদি সৌভাগ্যদায়িনী।
শারদ পূর্ণিমা তিথি মহা ধূম পড়ে,
কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা হয় ঘরে ঘরে।


মাটির প্রতিমা দেবী বেদী পরে রাখে,
সযতনে চারিভিতে আলপনা আঁকে।
সুগন্ধি চন্দন আদি ধূপ দীপমালা,
সুমিষ্টান্ন ফলমূল নারিকেল কলা।


আমের পল্লব রাখি ঘটে জল ভরে,
ধান দূর্বা ফুল দিয়ে লক্ষ্মীপূজা করে।
পূজান্তে পাঁচালী পাঠ হয় বিধিমতে,
কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা বিদিত জগতে।


মহালক্ষ্মী ব্রতকথা অমৃত সমান,
কবিতায় গাহে কবি পাঁচালীর গান।