কুলু কুলু বয়ে চলে গাঁয়ের অজয় নদী
বইছে অজয় আপন বেগে (দ্বিতীয় পর্ব)
            কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


অজয় নদীর চরে
সোনারোদ পড়ে ঝরে
প্রভাত পাখিরা তরুশাখে,


এপারে গাঁয়ের পথে,
অর্জুন, অশ্বত্থ, বটে
কিচিমিচি করে পাখি ডাকে।


দুপুরে পাড়ার ছেলে
স্নান সারে নদীজলে,
কলসী কাঁখে বধূরা চলে ঘরে,


বক বসে নদীচরে,
ছোট পুঁটিমাছ ধরে,
অবশেষে বেলা আসে পড়ে।


অজয়ের নদীঘাটে
সূর্য বসেছে পাটে,
দিনশেষে সন্ধ্যা আসে যবে,


ওপারেতে শালবনে
চাঁদ ওঠে পূবকোণে
জোছনায় ঝরে আলো ভবে।


রাত কাটে ভোর হয়,
ভোরের হাওয়া বয়,
অজয় আপন বেগে চলে,


খেয়াঘাটে মাঝি আসে
নদীজলে তরী ভাসে,
ঘাট ভরে জন কোলাহলে।