কুলু কুলু বয়ে চলে গাঁয়ের অজয় নদী
বইছে অজয় আপন বেগে (চতুর্থ পর্ব)
            কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

অজয়ের নদীচরে              সোনালি রোদ্দুর ঝরে
            কুলু কুলু বইছে অজয়,
নদীপাড়ে তরুশাখে           কিচিমিচি পাখি ডাকে
            সুশীতল সমীরণ বয়।


বধূরা কলসী কাঁখে            জল নিয়ে নদী থেকে
             ঘরে চলে রাঙাপথ ধরে,
দেখি গ্রাম সীমানায়           দূরে কাঞ্চন ডাঙায়
             গরু মহিষের দল চরে।


শাল পিয়ালের বনে            বাজে বাঁশি ঘনে ঘনে
             পাখি গায় মহুলের ডালে,
আদিবাসী সাঁওতাল            হয়ে বেহুঁশ মাতাল
              নাচে গায় মাদলের তালে।


রাঙা মেঘ ভেসে চলে          নীল গগনের তলে
              উড়ে চলে পাহাড়ের চুড়ে।
একতারা লয়ে হাতে           ভক্তদাস পথে হাঁটে
              গায় গায় সুমধুর সুরে।


অজয়ের নদীতীরে             বেলা বাড়ে ধীরে ধীরে
           দিনশেষে সন্ধ্যা আসে নেমে,
জ্বলে দীপ গাঁয়ে দূরে           শঙ্খধ্বনি তার সুরে
            সাঁঝের সানাই যায় থেমে।


আমার পূর্ব-প্রকাশিত কবিতা
ঈদের খুশি ছড়িয়ে পড়ুক
তথ্য সংগ্রহ ও  কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


ঈদের আগের রাতটিকে ইসলামী পরিভাষায় ‍‍লাইলাতুল জায়জা‌ (অর্থ: পুরস্কার রজনী) এবং চলতি ভাষায় “চাঁদ রাত” বলা হয়। শাওয়াল মাসের চাঁদ অর্থাৎ সূর্যাস্তে একফালি নতুন চাঁদ দেখা গেলে পরদিন ঈদ হয়, এই কথা থেকেই চাঁদ রাত কথাটির উদ্ভব। ঈদের চাঁদ স্বচক্ষে দেখে তবেই ঈদের ঘোষণা দেয়া ইসলামী বিধান।


আধুনিক কালে অনেক দেশে গাণিতিক হিসাবে ঈদের দিন নির্ধারিত হলেও বাংলাদেশে ঈদের দিন নির্ধারিত হয় দেশের কোথাও না-কোথাও চাঁদ দর্শনের ওপর ভিত্তি করে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে। দেশের কোনো স্থানে স্থানীয় ভাবে চাঁদ দেখা গেলে যথাযথ প্রমাণ সাপেক্ষে ঈদের দিন ঠিক করা হয়।


সাধারণত: ঈদের নামাজের পরে মুসলমানরা সমবেতভাবে মুনাজাত করে থাকে এবং একে অন্যের সাথে কোলাকুলি করে ঈদের সম্ভাষণ বিনিময় করে থাকে। ঈদের বিশেষ শুভেচ্ছাসূচক সম্ভাষণটি হলো, “ঈদ মোবারক”।


আসুন, আমরা সম্প্রদায়গত বিরোধ ভুলে আজকের পবিত্রতম ঈদের খুশির জোয়ারে সকলেই আনন্দ উত্সবে মেতে উঠি। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে ঈদ মোবারক বলে প্রাণিত করে তুলি। সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয়গুরু!


ঈদের খুশি ছড়িয়ে পড়ুক
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


ঈদের দিনে সবার সাথে নমাজ পড়তে হয়।
খুশির রঙে আজকে মেতে ওঠে সবার হৃদয়,
খুশির দিনে পুলক জাগে সবার হৃদয় মাঝে,
নতুন জামা, নতুন টুপি, সবাই নতুন সাজে।


ঈদের দিনে জাকাত নিতে এসেছে অন্ধমেয়ে,
খুশির দিনে সেই যে বেশি খুশি সবার চেয়ে।
হাতের তালু ভর করে হেথা এসেছে পঙ্গুছেলে,
খুশির দিনে হবে সে খুশি নতুন জামা পেলে।


ঈদের খুশি ছড়িয়ে পড়ুক সারা ভুবন ময়,
হিংসা বিরোধ সকল ভুলে করবো বিশ্বজয়।
আজ যখন ঈদের দিনে হৃদয়ে পুলক জাগে,
পরস্পরে আলিঙ্গন করে খুশির ছোঁয়া লাগে।


ঈদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন মুসলিম বন্ধুজন,
ঈদের কবিতা লিখেন কবি শ্রীভাণ্ডারী লক্ষ্মণ।