মানব রূপে দানব
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


ভ্রূণহত্যায় উন্মত্ত আজকের ধরা,
আঁধারে জন্ম নেয় অবাঞ্ছিত শিশু।
কোলে নাও তুলে, নিষ্পাপ ওরা,
হতে তো পারে মানবরূপে যীশু।


কিংবা হতে পারে মাদার টেরেসা,
দাও তাদের বাঁচার পূর্ণ অধিকার।
ভ্রূণহত্যা পাপ, সে তো জিঘাংসা,
মানব দানব সেজে করে দুরাচার।


লিঙ্গ ভ্রূণনির্ণায়ক কে আনিল ধরায়,
অবাধে হতেছে নাশ কন্যা-ভ্রূণ যত।
এ জগতে ভ্রূণ-হত্যা নহেক অন্যায়।
দিকেদিকে ভ্রূণ-হত্যা চলে অবিরত।


থেমে গেছে ধরণীতে অগ্রগতির রথ,
স্তব্ধ হলো তাই বুঝি জাতীয় প্রগতি।
কেন রক্তে রঞ্জিত ধরিত্রীর রাজপথ,
দস্যুরূপে চালায় কারা ব্যভিচার অতি।


পাখিদের কাকলিতে কান্না আসে নেমে,
অজয়ের কলতানে ভাসে বিরহের সুর।
কন্যা-হারা জননীর কান্না যাক থেমে,
বাসযোগ্য হোক ধরা অনাগত শিশুর।


-------------------


সমীক্ষার হিসেব অনুযায়ী, ১৯৮০ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে ৪০ লাখ থেকে ১ কোটি ২০ লাখ মেয়ে শিশুর ভ্রুণ হত্যা করা হয়েছে কেবল তারা মেয়ে এই কারণে৷ বলা হয়েছে, যাদের প্রথম সন্তান মেয়ে তাদের মধ্যে গর্ভপাত করে মেয়ে শিশুর ভ্রুণ নষ্ট করার প্রবণতা গত কয়েক দশকে অনেক বেড়ে গেছে, যা ছেলে শিশু এবং মেয়ে শিশুদের স্বাভাবিক অনুপাতকে ব্যাহত করছে৷ ৬ বছর পর্যন্ত বয়সের শিশুদের মধ্যে ১৯৯১ সালে ছেলে শিশুর চেয়ে মেয়ে শিশুর সংখ্যা ৪২ লাখ কম ছিলো, যা ২০০১ সালে এসে দেখা যায় মেয়ে শিশুর সংখ্যা ছেলে শিশুদের চেয়ে ৬০ লাখ কম৷