নব আনন্দে জাগো আজি, বৈশাখের প্রথম পুণ্য প্রভাতে ।
সব জ্বালা যন্ত্রণা যাক মুছে, আসুক এক নতুন ভোর ।
এসো হে বৈশাখ ! এসো হে নতুন এসো নবসাজে।
<< শুভ নববর্ষ >>
এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ
তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে,
বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক
যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে যাওয়া গীতি,
অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক।
মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা
রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি,
আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ
মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক।
” এসো হে বৈশাখ এসো এসো …” সবার প্রিয় কবির এই বিখ্যাত গানের মাধ্যমে বাংলায় বরণ করে নেওয়া হয় নববর্ষকে ।
নতুন বছরের পূর্ণ প্রভাতে ভরে উঠুক সবাকার জীবন পাখিদের আনন্দ কলতানে। আসুক এবার নতুন সকাল, কিছু কথা আর কিছু গান।
কিছু সুন্দর স্বপ্ন, একমুঠো সাদা মেঘ, কিছু মিষ্টি অনুভূতি। বৈশাখের দাবদাহে আসুক স্বপ্নময় সৃষ্টি। শুরু হোক নতুন বছরে নতুন উদ্দীপনার আলোকে রঙিন হোক আগামী দিনগুলো।
নববর্ষের আলোকে আমার দ্বিতীয় কবিতা
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
নববর্ষ আজি
পত্র পুষ্পে সাজি
নব নব কচি কিশলয়,
নতুন জামা পরে
নাচে সারাদিন ধরে
নববর্ষে ভারি ধূম হয়।
তরুশাখে পাখি
করে ডাকাডাকি,
কাননেতে ফুলকলি ফুটে,
পূরব দিশায়,
ওই দেখা যায়
প্রভাতে অরুণ রবি উঠে।
দেখি খোলা মাঠ
অজয়ের ঘাট
নির্জন সকাল বিকাল সাঁঝে,
বলাকারা উড়ে
শুনি ওই দূরে
সুরে রাখালের বাঁশি বাজে।
নববর্ষ আসে
আনন্দ উচ্ছ্বাসে
দিন কাটে আর রাত আসে,
দিন কাটে হায়,
স্মৃতি থেকে যায়
হারিয়ে যাওয়া স্মৃতি ভাসে।
আজি শুভ নববর্ষে
কত হাসি গান হর্ষে
সারাদিন পার হয়ে যায়,
নববর্ষ আগমন,
লিখে কবি শ্রীলক্ষ্মণ
লিখে কবি তার কবিতায়।