নারীর অপমান….. জাতির অপমান
নারীর সম্মান…..দেশের সম্মান দ্বিতীয় পর্ব
তথ্যসংগ্রহ ও কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


কবির কলমে


………………………ওরা এমনি করেই মরে।
ওদের কেউ নেই। ………….ওরা প্রিয়াংকা।
রাতের আঁধারে ধর্ষিতা হয়ে ওরা জ্বলন্ত আগুনে জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তাদের জন্য তৈরি হয় নি আইন। তৈরি হয় নি সংশোধনাগার আর আদালত।ওরা এমনি ভাবেই পুড়ে মরে। অবিচারের আদালতে সুবিচার পাবে না জেনেশুনেই নির্যাতিতারা আদালতের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু কেন?


প্রিয়াংকাকে যে বা যারা পুড়িয়ে মেরেছে্ তারা সকলেই অপরাধী। অপরাধীদের শীঘ্রই বিচার চাই। বিচারের নামে প্রহসন কেন? ধন্যবাদ জানাই হাইদ্রাবাদের পুলিশ কর্তৃপক্ষকে। তারা যা করেছে তা সকলের কাছে প্রশংসনীয়। তাই শুধু সাধারণ মানুষ নয়, স্বর্গ থেকে দেবতারাও এতে সন্তুষ্ট হয়ে পুষ্পবৃষ্টি করেছেন। সবাইকে ধন্যবাদ। জয়গুরু!


সংবাদপত্রে প্রকাশ হায়দরাবাদে পশু চিকিত্‍‌সক ধর্ষণ-খুন: এনকাউন্টারে মৃত ৪ অভিযুক্ত হায়দরাবাদের পশু চিকিত্‍‌সককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় পুলিশি এনকাউন্টারে মৃত্যু হল চার অভিযুক্তের। যেখানে নিগৃহীতার গায়ে পেট্রল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেখানে ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য শুক্রবার ভোররাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল চার অভিযুক্তকে। পুলিশ জানিয়েছে, তখনই পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। এরপর ৪৪ নং জাতীয় সড়কের উপর শুরু হয় এনকাউন্টার। পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় চার অভিযুক্তেরই।
তথ্যসুত্র: এই সময় পত্রিকা


অভিযুক্ত চার জনকে বৃহস্পতিবারেই ৭ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছিল আদালত। তার পরে প্রথম রাতেই পশু চিকিৎসক তরুণীর ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের মামলা গুটিয়ে দিল হায়দরাবাদ পুলিশ! শাদনগরে ধর্ষণের জায়গাতেই শুক্রবার ভোরে পুলিশের গুলিতে নিহত হল ৪ অভিযুক্ত।
সাইবারাবাদের পুলিশ কমিশনার ভিসি সজ্জনারের দাবি, ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে রাত সাড়ে তিনটের সময়ে মহম্মদ আরিফ (২৬), জল্লু শিবা (২০), জল্লু নবীন (২০) এবং চেন্নাকেশবুলু (২০) নামে ৪ অভিযুক্তকে শাদনগরের ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় ১০ জন পুলিশের একটি দল। তাদের হাতকড়া খোলা ছিল। ভোরে পৌনে ছ’টা নাগাদ আরিফ ও চেন্নাকেশবুলু আচমকাই তদন্তকারী অফিসারের রিভলভার ছিনিয়ে গুলি ছুড়তে শুরু করে। বাকিরাও পাথর ও লাঠি নিয়ে পুলিশের ওপর চড়াও হয়। সজ্জনার জানান, এই পরিস্থিতিতে তাদের সতর্ক করে কাজ হয়নি। তখন পুলিশ ‘গুলি চালাতে বাধ্য হয়’ এবং অভিযুক্তদের মৃত্যু হয়। কমিশনারের দাবি, দুই কনস্টেবলও মাথায় আঘাত পান। তবে কারও দেহে গুলি লাগেনি। সজ্জনারের কথায়, ‘‘আইন তার কর্তব্য পালন করেছে।’’ (সংক্ষেপিত)
তথ্যসুত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা


নারীর অপমান….. জাতির অপমান
নারীর সম্মান……….দেশের সম্মান।
জ্বলন্ত কবিতা-২ (দ্বিতীয় পর্ব)
কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


মরেনি প্রিয়াংকা বেঁচে আছে সে সবার হৃদয় মাঝে,
ভাষাহীন তার চিত্কার আজ সবাকার হৃদয়ে বাজে।
কবিতার পাতায় বিদ্রোহ আজ নীরব কেন হে কবি?
সম্মুখে তব ওই অগ্নিদগ্ধ প্রিয়াংকাদের ভাসে ছবি।


কি হবে করে মোমের মিছিল, মিছিল কেন করো?
লাল আগুনের মশাল জ্বেলে ধিক্কারে ফেটে পড়ো।
আর দেরি নয় হয়েছে সময় ওঠো জেগে বিশ্ববাসী,
জয় করে আনো নতুন সকাল তিমির যামিনী নাশি।


প্রতিবাদের তুফান উঠুক, জেগে উঠুক সারা দেশ,
নিঃধর্ষক করো সারাবিশ্ব ধর্ষকদল হোক নিঃশেষ।
কহিছে প্রিয়াংকা নাহিক আশঙ্কা দগ্ধ হয়েছি জ্বলে,
আত্মা আমার পাবে চিরশান্তি দেশ ধর্ষকমুক্ত হলে।


দেখ চক্ষু মেলি জ্বলে কারা ঐ প্রিয়াংকা মায়ের দল,
প্রতিবাদের বিদ্রোহের আগুনে জ্বলে উঠুক দাবানল।