নারীর অপমান….. জাতির অপমান
নারীর সম্মান…..দেশের সম্মান সমাপ্তি পর্ব
তথ্যসংগ্রহ ও কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


নারী শক্তি-র জোট বাঁধার আহ্বান দিকে দিকে। দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ড থেকে রাজ্যের কামদুনি-ধূপগুড়ি। একের পর এক গণধর্ষণ, নারী নির্যাতনের অভিযোগ তোলপাড় চালিয়েছিল শিল্পীর মনে। শিল্পীর মন ভেবেছে, প্রশাসনের সক্রিয়তার সঙ্গেই পুরুষদের অত্যাচার ঠেকাতে মেয়েদের জোট বাঁধাও প্রয়োজন। ভাবনার সেই জোট মাটি, রং দিয়ে মূর্ত হতে চলেছে। কার্তিক-গণেশকে পাশে রেখে দেবী দুর্গা নিজের চালায় ডেকে নিয়েছেন লক্ষ্মী-সরস্বতীকে। তিন দেবীর পায়ের নীচে থাকা অসুরের বুক ত্রিশূলে বিদ্ধ। অসুর এখানে নারী নির্যাতনের প্রতীক।


আসুন, প্রচলিত সমাজব্যবস্থা ও রাষ্ট্রঐক্যকে সুসংহত করতে নারীর অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে তুলতে হলে নারী সশক্তিকরণ আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হোক। নারী শুধু মা নয়, মেয়ে নয়, ভার্যা নয়, সহোদরা নয়, তিনি দেবী মহামায়ার অংশ। তাই মাটির প্রতিমাপূজা বন্ধ করে জীবন্ত দূর্গাকে পূজা না করতে পারলে দেশ কভু প্রগতির পথে এগোবে না। জয়গুরু!


নারীর অপমান….. জাতির অপমান
নারীর সম্মান……….দেশের সম্মান।
জ্বলন্ত কবিতা-৫ (সমাপ্তি পর্ব)
কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


জাগো ভারতের নারী,
পেট্রোল দহনে দেহে আগুন জ্বলে ভুলতে কভু কি পারি?


মোছ আঁখিজল আগুন জ্বলুক, দিকে দিকে জ্বালো আগুন,
ভারতের শ্যামল প্রান্তরে বন্ধ হোক হত্যা, রক্ত আর খুন।
নির্যাতিতা নারী জেগে ওঠো আজ হাতে তুলে নাও মশাল,
দুইচোখে জ্বলুক প্রতিশোধের আগুন জেগে উঠুক মহাকাল।


অসুরে অসুরে ছেয়ে গেছে দেশ সেই অসুরে করিতে সংহার,
মহিষাসুরমর্দিনী রূপে আবির্ভূতা হয়ে নাশো অসুর এ ধরার।
রণহুংকারে মেতে ওঠো নারী আগুন জ্বলে উঠুক দুই চোখে,
বজ্রহুংকারে ফেটে পড়ো নারী হয়ো না ম্রিয়মান কভু শোকে।


ত্রিশূল তুলে নাও মাগো আজি বধিবারে ধরিত্রীর মহিষাসুর,
বিশ্ববাসী দেখুক নারীর শক্তি শংকা সবাকার করো মা দূর।
জেগে ওঠো নারী ভীমা ভয়ংকরী অসুর সংহারী মাগো তুমি,
করি শিরশ্ছিন্ন করো নিশ্চিহ্ন অসুরমুক্ত করো মা ভারতভূমি।


মোছ মাগো আঁখিজল,
বজ্রনিনাদে কেঁপে উঠুক ধরা জাগো অভয়াশক্তি মায়ের দল।