পাষাণভেদী কবির অকাল মহা-প্রয়াণে বাংলা কবিতার আসর আজ শোকস্তব্ধ। কবির পরিবারবর্গকে জানাই সমবেদনা। আসুন, আজ সকলেই কবির অমর আত্মার শান্তিকামনায় ব্রতী হই। কবি যেখানেই থাকুন তিনি সুখেই থাকবেন, এই কামনা করি।
জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!


বাসাংসি জীর্ণানি যথা বিহায়
নবানি গৃহ্ণাতি নরোহপরাণি।
তথা শরীরাণি বিহায় জীর্ণা-
ন্যন্যানি সংযাতি নবানি দেহী || ২২ ||


'শাঙ্করভাষ্য' অনুসারে ভাবার্থঃ- যেমন মনুষ্য জীর্ণ অর্থাৎ দূর্বল বস্ত্র পরিত্যাগ করিয়া অন্য নূতন বস্ত্র গ্রহণ করে, তেমনি আত্মা জীর্ণ শরীর পরিত্যাগ করিয়া নবীন দেহ প্রাপ্ত করেন। ভাবার্থ ইহা যে জীর্ণ বস্ত্র ছাড়িয়া নূতন বস্ত্র ধারণকারী পুরুষের ন্যায় আত্মা অবিক্রিয়ই থাকেন।


ব্যাখ্যাঃ- গতাগতি বুদ্ধ্যাদি সমন্বিত লিঙ্গশরীররূপ উপাধিরই। আত্মার বিভুত্বহেতু গতাগতি সম্ভব নহে। সুক্ষ্মশরীরের গতাগতিরূপ ধর্ম্ম আত্মাতে অধ্যারোপ করে আত্মার গতাগতি কল্পনা করা হয়।
পাষাণভেদী কবির অকাল মহা-প্রয়াণ
শোকস্তব্ধ কবিতার আসর (দ্বিতীয় পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


হে শিক্ষক! শিক্ষাদাতা, হে কবি মহান!
তুমি বিনা কে করিবে আজি শিক্ষাদান?
লিখিলে কবিতা কত কবিতা আসরে,
তব লাগি সবাকার চোখে জল ঝরে।


পাষাণভেদী উপাধি জানে সর্বজনে,
মোদের ছাড়িয়া বাস করিছ কেমনে।
ফিরে এস এস ফিরে এই ধরাতলে,
তব লাগি সকলেই ভাসে অশ্রুজলে।


নির্মম নিয়তি নিল কেড়ে কবি প্রাণ,
দিকে দিকে আজি শুনি তব জয়গান।
ছিলে তুমি দৃপ্ত কবি, কবিতা সভায়,
হে শিক্ষক! শিক্ষাদাতা প্রণমি তোমায়।


মানুষ মরিয়া যায় রেখে যায় স্মৃতি,
অমর কবিতা মনে জাগে নিতিনিতি।
কবির অমর স্মৃতি লুপ্ত নাহি হবে,
কবিতায় চিরদিন কবি বেঁচে রবে।