আজকের নবজাতক,
তারা আগামী দিনের ভবিষ্যত।
তারা দেশের ভবিষ্যত,
দশের ভবিষ্যত, জাতির ভবিষ্যত।
আগামী দিনের পৃথিবী
তাদের কাছ থেকে
অনেক কিছুই আশা করে।
হে আমার দেশের তরুণরা!
তোমরা সোনার টুকরো,
দেশের ছেলে, জাতির ভবিষ্যত,
তোমাদের চোখে সুর্যের দীপ্তি,
বক্ষে দুর্জয় শক্তি। কবি রবীন্দ্রনাথ,
মাইকেল, বঙ্কিম, ঋষি অরবিন্দ
তোমাদের মধ্যেই জন্মেছিল।
তোমাদের মধ্যেই জন্মেছিল,
অগ্নিশিশু মহাবিপ্লবী সূর্যসেন,
বিনয়, বাদল, দিনেশ।
ব্রিটিশ সিংহের বিরুদ্ধে তারা
আমরণ সংগ্রাম করেছিল।
হে আমার দেশের মা ও বোনেরা!
তোমরা সতী সাবিত্রী দেশের মেয়ে,
গার্গী, মৈত্রেয়ী, খনা, লীলাবতী
তোমাদের মধ্যেই জন্মেছিল।
তোমাদের মধ্যে জন্মেছিল,
বীনা দাশ, কল্পনা দত্ত, প্রীতিলতা ওয়েদ্দার।
ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে তারা
অগ্নিকন্যা হয়ে জ্বলে উঠেছিল।
তারপর দেশ হলো স্বাধীন।
স্বাধীন দেশে আজ এসেছে
দেশ গড়ার সময়। অথচ
আজও কৃষক-কৃষানীর ঘরে
আঁধার নামে। ঘরে অন্ন নেই।
শ্রমিক উদয়াস্ত পরিশ্রম করেও
তার দরিদ্র পরিবারের জন্যে
যোগাড় করতে পারে না ক্ষুধার অন্ন।
এক মুঠো ভাত বা এক টুকরো রুটি।
দ্রব্যমূল্য যেখানে আকাশছোঁয়া,
বেকাররা যেখানে চাকরি পায় না,
সেথায় স্বাধীনতার মূল্য কোথায় ?
এতো পরাধীনতার নতুন অধ্যায়।
ব্রিটিশরা চলে গেছে। রেখে গেছে
কালোবাজারী, মজুতদার আর
অত্যাচারী শাসক আর শোষকদের।
বেইমান ব্রিটিশদের দুষিত রক্ত
বইছে ওদের শিরায়-উপশিরায়,
ধমনীতে-ধমনীতে।
দেশের নবজাতক শিশু, তরুণ,
আবালবৃদ্ধবনিতা, দেশবাসী!
এসো সবাই,
জাতিধর্মনির্বিশেষে
সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ।
দেশদ্রোহী, জাতিদ্রোহী আর
ধর্মবিদ্বেষীদের বিরুদ্ধে
আমরা রুখে দাঁড়াই, প্রতিবাদ করি।
স্বভাব কবি আমি
লিখে যাই কবিতা।
সবারে করি আহ্বান।
আমাদের সংকল্প-
আমরা দেশের কাজ করবো।
দেশমাতার সেবা করবো,
ব্যথীর ব্যথা বুঝবো।
এই হোক আমাদের
সবার দৃঢ় অঙ্গীকার।
সদর্পে তোমরা বলে ওঠো
মাটি আমাদের মা,
মাটির মানুষ আমাদের দেবতা।
আমরা ভারতবাসী।
আমরা চাই ভারতের প্রকৃত স্বাধীনতা।