গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহে সারা পৃথিবী
যখন অর্ধ-অচেতন, ক্লান্ত আর বিবশ,
যখন তৃষাতুর চাতক পাখি
এক ফোঁটা জলের জন্য হা-হুতাশ করে,
সমস্ত মানবজাতি, জাতি ধর্ম নির্বিশেষে
বলে ওঠে- “এই দারুণ গরমে
জীবনটা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে,
এক ফোঁটা বৃষ্টি দাও ঠাকুর।”
আবার কেউ বা বলে ওঠে-
“আলগোড়াতে পানি নাই,
দাও আল্লা পানি” আর
তখনই-অতি উল্লাস হরষে
বঙ্গে আসে বর্ষা।
আকাশে ঘন কালো মেঘের ঘনঘটা,
গুরুগম্ভীর মেঘের গর্জন যাচ্ছে শোনা।
ক্ষণে ক্ষণে বিদ্যুতের ঝিলিক
চমকে দেয় সারা ধরিত্রীকে।
সারা আকাশ কাঁদছে,
বাতাস ফুঁসছে, প্রতিসন্ধ্যায়
শোনা যায় একটানা ব্যাঙের ডাক।
মনে হয়, সারা পৃথিবী যেন
গুমরে গুমরে কাঁদছে।
আর এই বর্ষার দিনে
পুণ্যতোয়া পতিত পাবনী
মা গঙ্গার হয় অভিষেক।
গঙ্গার বুকে ঢল নামে,
কানায় কানায় ভরে ওঠে
নদী দেখা দেয় প্রবল বন্যা।
একূল ওকূল দুকূল ভাসে
নদীর খরস্রোতা জলে।
দারুণ বাদল দিনে
নাইকো মাঝি ঘাটে
নদীর জল বেড়ে, ফলে ওঠে।
বর্ষণ মুখরিত দিনে, কবির কণ্ঠে
ধ্বনিত হয় নজরুলগীতি।
“শ্রাবণ রাতে যদি... ”
কবির লেখনী নব উল্লাসে
লিখে যায় বর্ষার এক কবিতা,
বর্ষার আয়োজন।