শস্যপূর্ণা মা বসুন্ধরা যতই হোক না বৃহত্তর
জন্মদাত্রী মা যে আমার, স্বর্গের চেয়েও বড়।
মায়ের মত আপনজন কেউ এ সংসারে নাই।
মায়ের স্নেহ ভালবাসা কোথায় গেলে পাই?
স্নেহ মাখা পরশ মায়ের, ভুলায় নয়ন মন।
মা ছাড়া এই বিশ্বমাঝে, আর কেউ নয় আপন।
মায়ের জন্যেতে দেখি এই সসাগরা পৃথিবী।
তাই তো আজও বিশ্বজুড়ে, দেখি যে মায়ের ছবি।
প্রথম আমি হাঁটতে শিখলাম, ধরি জননীর কর,
শিখলাম লিখতে বর্ণমালার প্রথম অক্ষর।
ছোটবেলায় যখন আমি কাঁদতাম মা মা বলে,
ছুটে এসে আদর করে মা তুলে নিত কোলে।
মায়ের স্নেহ আদর পেয়ে সবই যেতাম ভুলে,
মায়ের পায়ে প্রণাম করে যেতাম রোজ স্কুলে।
স্নেহ ভরা পরশ মায়ের, জুড়ায় মন ও প্রাণ
কোলে বসে শুনতাম মায়ের ঘুমপাড়ানী গান।
মাকে মনে পড়ে আমার আজও মাকে মনে পড়ে,
মায়ের কথা বললে পরে চোখে আসে জল ভরে।
সেই মা আমার গেছে চলে, একলা আমায় ফেলে,
আজও কেঁদে  মাকে ডাকি, ভাসি চোখের জলে।
মায়ের স্নেহ ভালবাসার দাম পারব না দিতে কোন দিন,
মায়ের চরণ করলে পূজা, শোধ হবে না মায়ের ঋণ।
মা ওগো মা, আমার জন্মদাত্রী, গর্ভধারিণী মা।
তুমি কেন একটি বারও স্বর্গ থেকে চেয়ে দেখ না।
তোমার ছেলে বড় হয়েছে, রোজ যার কপালে দিতে মা টীকা,
তোমার মাটির ঘরে গড়েছে সে আজ বিশাল বিরাট অট্টালিকা।
তোমার হাতে গড়া তুলসীমঞ্চের তোমার সেই তুলসীগাছটা,
ক্ষোভে, দুঃখে আর অভিমানে করেছে নিজেই আত্মহত্যা।
তোমার স্বপ্ন হয়েছে পুরণ, তোমার ছেলে আজ ইঞ্জিনীয়ার।
বাড়ি গাড়ি, টাকা পয়সা, নাই কো কোন অভাব তার।
মায়ের অভাব পূর্ণ করো, এসো মাগো ফিরে।
তোমার লাগি আজও কাঁদি, ভাসি আঁখি নীরে।