অশ্লীলতার বিষাক্ত কামড়,
কুমারী ধরিত্রী গর্ভে
রাতের গহন অন্ধকারে,
ঘুমন্ত অবস্থায় বারবার
সাপের বিষ ঢেলে দেয়।
কেউ বাধা দেয় না।
না দেওয়াটাই নিয়ম।
রাতে সাপটা আবার আসে।
রাতের অন্ধকারে
ধরণীর নগ্নদেহে
ওর অবাধ আনাগোনা।
ধরণী অনুভব করে
তার শীতল হিমেল পরশ।
কোন বার বিধি নেই,
নেই কোন বাধা নিষেধ।
ধরিত্রীর উলঙ্গ বুকে
সাপটা ফণা তুলে দাঁড়ায়।
ওর দু’চোখে জ্বলছে আগুন,
গর্জন করছে, ফুঁসছে সে,
মনে হয় কি যেন খুঁজছে।
অবশেষে খুঁজে পায়
নিজের প্রিয় গর্তখানা।
তারপর সকলের অজান্তে,
কোন এক অসতর্ক মুহুর্তে
সে ধীরে ধীরে সুড়ঙ্গ পথের
গুপ্ত দরজা দিয়ে,
প্রবেশ করে গুপ্ত গহ্বরে।
সারারাত সাপটা গর্তে ঢুকে থাকে।
বেরোতে চায় না। সারা রাত ধরে
কতবার যে বিষ ফেলে দেয়
কেউ তার হিসেব রাখে না।
অথচ সকাল হলেই সাপটা
নিজেই আত্মগোপন করে ।
ওর বিষাক্ত নিঃশ্বাসে,
সসাগরা ধরার বুকে
জেগে উঠেছে নাভিশ্বাস।
ওর বিষাক্ত ছোবলে
ধরণীর নগ্ন দেহ বারবার
হয়েছে ক্ষতবিক্ষত।
বন্ধ্যা পৃথিবী নীরবে
চোখের জল মোছে।
এই তো জীবন।
এ জীবন অতি দুর্বিসহ।
জীবনের আর এক নাম ইতিহাস।
কুমারীত্ব হারিয়ে তাহলে
প্রতি রাতে বিষধর সাপের
ছোবল খেয়েও, কিসের আশায়
বিপুলা ধরণী আজও বেঁচে আছে?