আমার কবিতা—
শুধু কবিতা নয়,
কান্না, হাসি, গান আর কথার ফুলঝুরি।
আমার কবিতা—
সরোবরে ফুটে ওঠা রক্ত শতদল।
প্রশ্ন করো যদি,
কোন সে সরোবর ?  সে সরোবর কোথায় ?
উত্তর তার—
বাংলা কবি ও কবিতার আসর
জীবন মরু উদ্যান মাঝারে  যেন
এক সরসিজ স্বপ্নে ঘেরা সরোবর।
এই সরোবরে প্রতিদিন
ফুটে ওঠে অসংখ্য শতসহস্র কুমুদ কমল।
সহজ, সরল, শান্ত মৌন কবি আমি,
প্রতিনিয়ত কবিতার জাল বুনি।
কভুবা সাজি অশান্ত হয়ে বুভুক্ষার নিষ্ঠুর কবি।
সুন্দর পৃথিবীর বুকে আঁকি দুর্ভিক্ষের ছবি।
আমার অশান্ত লেখনী—
বিদ্রোহী চেঙ্গিসের তরবারির চেয়েও
ভয়াল, ভয়ংকর আর দুর্বিনীত।
লেখনীর অগ্ন্যুদ্গারে ফুটে ওঠে
যত অভিশাপ আর সমাজের জঞ্জাল।
আমার প্রার্থনা শোনো-
হে বাংলা কবি ও কবিতার আসরের
পরম শ্রদ্ধেয় ও পূজনীয় যত কবিগন।
আমার পঞ্চাশ তম কবিতা অর্ঘ্য
দেব আজি তোমাদের চরণ কমলে।
যদি কোন ভূল হয়ে থাকে,
ক্ষমা করে দিও তোমরা আমাকে।
কবিরে ভুলো না যেন কোন দিন,
মনে রাখবে আমাকে।
“যত দিন এ দেহ থাকবে প্রাণ,
এই কবিতার আসরে থাকব,
একের পর এক কবিতা লিখে যাব।
তারপর একদিন ঝরে যাব।
স্মৃতি হয়ে রইব কবিতার পাতায়।
এই হোক আমার দৃঢ় অঙ্গীকার। “
এই অঙ্গীকার
শুধু আমার নয়,
তোমাদের সকলের,
আমার ও আমাদের সবাকার।
বাংলা কবি ও কবিতার আসর
আমাদের মাঝেই বেঁচে থাকুক।
কবিতার আসর-
সে তো আসর শুধু নয়।
কবিতার পাঠশালা।
বিশ্বজুড়ে চলছে এই পাঠশালা।
এই পাঠশালা,
যেন কবিমনের এক পান্থশালা।
এই পান্থশালায় বিশ্বের মাটি ফুঁড়ে
বের হয় লক্ষ লক্ষ কবিতার চারা।
কবিদের প্রাণের পরশে সেই সব
চারাগাছে ফুটে কবিতার ফুল।
ফুল ঝরে যায় শেষে একদিন।
কিন্তু কবিতার ফুল ঝরে যায় না।
স্মুতি হয়ে রয়ে যায় শুধু স্মৃতির ফলকে,
কবিতার পাতায় এক-একটা কাগজের ফুল হয়ে।