অভিশপ্ত ফুলশয্যার রাত
রাতের আকাশে চাঁদ ওঠে।
অভিশপ্ত ফুলশয্যার রাত
রাতের আকাশে তারারা মিট মিট করে জ্বলে।
অভিশপ্ত ফুলশয্যার রাত
রঞ্জনের চোখে ঘুম নেই।
অভিশপ্ত ফুলশয্যার রাত
নববধুর কণ্ঠে ভেসে আসে কান্নার সুর।


এখন অনেক রাত।
রাতের অন্ধকারে সারা পৃথিবী গভীর ঘুমে অচেতন।
টেলিফোনে ভেসে আসে অপরিচিত কণ্ঠস্বর-
যাকে তুমি স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়েছো
সেই অলকা বিবাহিতা।
অলকার স্বামী আছে, পুত্র আছে, সংসার আছে।
রঞ্জনের মাথাটা ঘুরছে।
সেকি স্বপ্ন দেখছে।
স্বপ্ন কি কভু সত্যি হয়?
একটা অস্ফুট চিৎকারের ধ্বনি
প্রতিধ্বনি হয়ে মাথা খুঁড়তে থাকে।
রঞ্জনের দুচোখে আগুন জ্বলছে।
রঞ্জনের উত্তেজিত কণ্ঠস্বর- অলকা,
তোমার সঙ্গে আমার বিয়ে হয় নি।
হয়েছে মালাবদল, মালাবদল বিয়ে নয়,
এ বিয়ে আমি স্বীকার করি না।
আমি ছিঁড়ে দেব তোমার ফুলের মালা
ভেঙে দেব হাতের শাঁখা,
মুছে দেব সিঁথির সিঁদুর।
তোমার আমার মধ্যে এক বিরাট ব্যবধান।
আমার জীবনটা তুমি কেন
এভাবে নষ্ট করে দিলে অলকা?
অলকা নিরুত্তর। সে কি বলতে পারে
তার স্বামী মদ খায়? তার ছেলে খুনী।
অভিশপ্ত ফুলশয্যার রাতেই
ক্ষোভে, দুঃখে আর অভিমানে
রঞ্জন আত্মহত্যা করে।
নিঃশেষ হল-
একটি নিষ্পাপ জীবন।
অলকার দু’চোখ জলে ভরে আসে।