নদীরে... ...ওরে ও নদী রে!
কেন রে তুই আপন মনে,
ভেসে চলিস স্রোতের টানে?
(ও তোর) জলের ধারা প্রবলবেগে ছুটে সাগর পানে।
গ্রীষ্মে জল থাকে না, নদী শীর্ণকায়,
মানুষজন হাঁটুজলে, পার হয়ে যায়।
কেন রে তুই আপন মনে,
ভেসে চলিস স্রোতের টানে?
(ও তোর) জলের ধারা প্রবলবেগে ছুটে সাগর পানে।
বর্ষায় আসে জোয়ার, উথাল পাথাল পানি,
মাঝ দরিয়ায় উঠলে তুফান, ডুববে তরীখানি।
কেন রে তুই আপন মনে,
ভেসে চলিস স্রোতের টানে?
(ও তোর) জলের ধারা প্রবলবেগে ছুটে সাগর পানে।
নদীরে... ...ওরে ও নদী রে!
শরতের সোনালী রোদ, পড়ে নদীর কূলে,
দুই ধারে কাশের বন, ভরা কাশফুলে।
কেন রে তুই আপন মনে,
ভেসে চলিস স্রোতের টানে?
(ও তোর) জলের ধারা প্রবলবেগে ছুটে সাগর পানে।
নদীরে... ...ওরে ও নদী রে!
হেমন্তে নদীর কুলে হিমেল হাওয়া বয়,
নদীর জলে রাতের জোছনা শীতল হয়ে রয়।
কেন রে তুই আপন মনে,
ভেসে চলিস স্রোতের টানে?
(ও তোর) জলের ধারা প্রবলবেগে ছুটে সাগর পানে।
নদীরে... ...ওরে ও নদী রে!
পৌষমাসের শেষে মেলা, বসে নদীর কূলে
সংক্রান্তিতে মকরস্নান, শীতের সকালে।
কেন রে তুই আপন মনে,
ভেসে চলিস স্রোতের টানে?
(ও তোর) জলের ধারা প্রবলবেগে ছুটে সাগর পানে।
নদীরে... ...ওরে ও নদী রে!
বসন্তে বনে ফুল ফোটে, মনে রং ধরে।
একা নদী বসে কাঁদে, নদীর বালুচরে।
কেন রে তুই আপন মনে,
ভেসে চলিস স্রোতের টানে?
(ও তোর) জলের ধারা প্রবলবেগে ছুটে সাগর পানে।
নদীরে... ...ওরে ও নদী রে!