চুরুলিয়া গাঁয়ের ছেলে
কবি কাজী নজরুল,
বিদ্রোহী তিনি, বিদ্রোহী কবি
গান গাওয়া বুলবুল।


গাঁয়ের পাশে অজয় নদী
কুলু কুলু বয়ে চলে।
গাঁয়ের ছেলে দুখু মিঞার
দুঃখেতে দিন চলে।


দুঃখে গড়া জীবন দুখুর,
সুখ ছিল না মনে,
দুঃখী দুখু নাম লেখাল
সেনা বাঙালী পল্টনে।


অত্যাচারী বিদেশী এসে,
কেড়ে নিল স্বাধীনতা,
বুঝলেন কবি ভারত মায়ের
পরাধীনতার ব্যথা।


‘অগ্নিবীণা’য় অগ্নি ঝরে,
‘বিষের বাঁশি’ বাজে,
অগ্নিমন্ত্রে দীক্ষা নিয়ে,
নামল দেশের কাজে।


বাংলার বীর জোয়ান ছেলে,
গাহে ভারত মাতার জয়,
বিদেশীদের বুঝিয়ে দিল
বীর বাঙালী তুচ্ছ নয়।


পাষাণের ঐ কারাগার
ভেঙে ফেলো হুংকারে,
মৃত্যুবরণ করে সবাই
পাষাণের কারাগারে।


শেকল ভাঙার গান গাহে
বিদ্রোহী কবি নিজে,
সবাই জীবন তুচ্ছ করে
নামল দেশের কাজে।


স্বাধীন ভারতবর্ষে উদয়
হলো অরুণ বরণ রবি,
বাংলা মায়ের দামাল ছেলে
হলেন জাতীয় কবি।


চরুলিয়া গ্রামে জন্ম লভিয়া
ঢাকায় কবি নিলেন মাটি,
কবির 115তম জন্ম দিবসে
শ্রদ্ধার্ঘ মোর এই কবিতাটি।