পৌষ পার্বন মকর সংক্রান্তি …….. ঘরে ঘরে পিঠেপুলি
অজয়ের ঘাটে সবাকার আহ্বান- এসো পৌষ যেও না।
তথ্যসংগ্রহ সম্পাদনা ও কলমে – লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


নতুন ধানের চাল এবং নতুন গুড় দিয়ে তৈরি পায়েস, পিঠে, তিল আর গুড় দিয়ে তৈরি লাড্ডু, তিলকুট, তিলতক্তি দিয়ে দেবী লক্ষ্মী এবং সূর্যদেবের উপাসনা করেন মানুষরা। প্রথমে দই–চিঁড়ে, তারপর খিচুড়ি, পায়েস, পিঠে, তিলের লাড্ডু, তক্তিতে জমে ওঠে সংক্রান্তির ভোজ। উত্তর এবং পশ্চিম ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এই দিন ঘুড়ি উৎসব অত্যন্ত জনপ্রিয়। অসমে বিহু, পশ্চিমবঙ্গে নবান্নের গান, তামিলনাড়ুতে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠে দেশবাসী।
পুণ্যস্নান ছাড়াও মকর সংক্রান্তি দেশের বিভিন্ন রাজ্যে নতুন শষ্য ঘরে তোলার দিন। পশ্চিমবঙ্গে এই দিনটি পরিচিত পৌষ সংক্রান্তি হিসেবে এবং অসমে এর নাম মাঘ বিহু বা ভোগালি বিহু। হিমাচলে মাঘা সাজি, কর্নাটকে সুগ্গি, রাজস্থানে সংক্রাত, তামিলনাড়ুতে পোঙ্গল নামে পরিচিত হলেও সব রাজ্যেই এই দিন উৎসবের দিন।


কোথায় কী নামে পরিচিত?
ভারতে মকর সংক্রান্তি নামে পরিচিত হলেও অন্য দেশে এর আলাদা আলাদা নাম রয়েছে। বাংলাদেশে এর নাম সাকরাইন। নেপালে এটি পরিচিত মাঘি নামে। থাইল্যান্ডে সংক্রান। লাওসে পি-মা-লাও।মিয়ানমারে থিং-ইয়ান। কম্বোডিয়ায় মহাসংক্রান নামে পরিচিত। দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে পরিচিত এ বার দেখব সেগুলি – পশ্চিমবঙ্গে এই উৎসব পৌষ সংক্রান্তি, পৌষপার্বণ বা নবান্ন। তামিলনাড়ুতে এই উৎসব ‘পোঙ্গল’ নামে পরিচিত। কর্ণাটকে একে ‘মকর সংক্রমনা’ বা ‘ইল্লু বিল্লা’ বলা হয়। অন্ধ্রে আর কেরলে এই উৎসব মকর সংক্রান্তি নামেই পরিচিত। রাজস্থান ও গুজরাতে এই উৎসবের নাম ‘উত্তরায়ণ’, মহারাষ্ট্রে ‘তিলগুল’, মধ্যপ্রদেশে সুকরাত, কাশ্মীরে শায়েন-ক্রাত। উত্তর ভারতের পঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচল, জম্মুতে এই উৎসব ‘লোহরি’ নামে চালু। ‘মাঘী’ উৎসবও বলা হয়। বিহার, উত্তরপ্রদেশ ও ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জায়গায় এই উৎসব ‘খিচড়ি পরব’। পূর্ব ভারতের অসমে এই উৎসবের পরিচিতি ‘ভোগালি বিহু’ নামে।


তথ্যসূত্র: আজকাল পত্রিকা


পৌষ পার্বন মকর সংক্রান্তি …….. ঘরে ঘরে পিঠেপুলি
এসো পৌষ যেও না ( পৌষপার্বনের কবিতা-৩)
কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


মকরসংক্রান্তি আজি কর পূণ্যস্নান,
অজয় নদীতে আজি টুসুর ভাসান।
ভোর হলে সকলেই টুসু নিয়ে আসে,
ফুলমালা নিয়ে টুসু নদী জলে ভাসে।


দলে দলে কুমারীরা গায় টুসু গান,
অজয় নদীর ঘাটে সবে করে স্নান।
বহুদূর হতে কত আসে লোকজন,
অজয়ের ঘাটে আজি জন সমাগম।


বাউলেরা একতারা হাতে গায় গান,
অদূরে কেহবা দেখি করে পূণ্যস্নান।
রাঙাপথে দেখি কত আসে সারিসারি,
স্নানার্থীরা আসে সবে চড়ি গরুগাড়ি।


বসেছে দোকান কত সার্কাসের খেলা,
অজয়ের ঘাটে আজি ধর্মশীলা মেলা।