বাংলা কবিতা আসরের স্বনামধন্য কবি আমাদের পরম শ্রদ্ধেয়
তথা সবাকার সেরা প্রিয়কবি সঞ্জয় কর্মকার মহাশয়ের
চরণকমলে উত্সর্গীকৃত আমার পঞ্চম কবিতা।


রানার কবি রানার
               -লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


রানার কবি রানার,
জানা অজানার, কত ঘটনার, কত নব ভাবনার
কবিতা লিখেন কবি।
স্মৃতি বিজড়িত, কত অগণিত, কাব্যে কত শত
সুখ দুঃখের ছবি।
রানার কবির কবিতায় ফুটে ওঠে কত না নিত্য
বাস্তব প্রতিচ্ছবি।
সরল প্রাণে, স্নেহের টানে আর লেখনীর গানে ভাসে মুখ
চেনা ও অচেনার।
রানার কবি রানার।
অবিরত কবি লিখেন কবিতা, তোয়াক্কা করেন না মানার;
রানার কবি রানার।


রানার কবি রানার!
কত কবিতা লেখার দায়িত্ব আজ তাঁর কাঁধে,
অবিরত কত লিখেন কবিতা, লিখে যান নির্বিবাদে।
কভু অন্যায়ের প্রতিবাদে,
কভু সমাজের পরিবেশ দূষণ রোধে,
ভাবেন কবি মনের গহনে লিখেন কবি প্রাণের স্পন্দনে ।
তাই কাব্যে এলো আজ নব জোয়ার।
রানার কবি রানার!


রানার কবি রানার!
কত লিখিবেন আর,
কত দিবেন কাব্য-উপহার?
দিনে দিনে কত দীর্ঘায়িত হলো তব, নব কাব্যের সম্ভার।
দিবস রাত্রি ক্লান্তির পাঠ, কত সাহিত্যের সুদীর্ঘ পারাবার।


রানার কবি রানার!
এবার কবিতা লেখার
এসেছে সময়. আর দেরি নাই আর।
বেজেছে বারোটা, এবার সময় প্রকাশ দেবার।
রানার কবি রানার! দিতে হবে সবাকার,
আরো আরো অনেক বহু আরো বিবিধ কাব্য-উপহার,


রানার কবি রানার,
কবিশেখর! বলুন আপনার,
কবিতা লেখার দিন কবে শেষ হবে?
প্রকাশ দেবার পরেই তো রাত কেটে ভোর হবে।
সূর্য ওঠার আগেই তরুশাখে বিহগের কলরবে।
সকলের কাছে পৌঁছে যাবে
প্রতি কোণে কোণে সকলেই পাবে
তোমার কবিমনের চিন্তাধারার ফসল,
পূরিবে মনোরথ, জাগিবে মনে নতুন আশা,
উদ্বেলিত বিহ্বল, রহিবে অচল, অটল।
থামিবে না কভু নদীর গতিপথ,
চলিবে ছুটিয়া, দ্যুলোক ভেদিয়া, তব অগ্রগতির রথ।


রানার কবি রানার,
বিমূর্ত প্রতীক, যুগ যন্ত্রণার,
কত অসহ্য ব্যথা বেদনার,
সহি নিশিদিন বিরহ যাতনার, দিন এবার শেষ হোক,
আসুক নব অভ্যুত্থান, হোক নতুন সূর্যোদয়।


রানার কবি রানার,
শুরু হোক এবার, নতুন কবিতা লেখার,
লেখো কবি নতুন কাব্য ইতিহাস,
ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ পৃথ্বীর, কাঁপুক আকাশ, বাতাস।
এবার কবি লাল কালিতে দাও টান,
জাগিয়া উঠুক ক্ষুধিত মানুষের প্রাণ।
লেখনীর অগ্নিস্ফুলিঙ্গে এবার জ্বলে উঠুক
প্রতিহিংসার নেশায় প্রতিশোধের দাবানল।
বঞ্চিত, লাঞ্ছিত, কোটি সর্বহারার কণ্ঠে
গর্জে উঠুক সহস্র কামানের হুংকার,
মিলে যাক মিশে যাক, হিংসায় উন্মত্ত
পৃথ্বীর বুকে আছে যত অনাচার, যত অবিচার।


রানার কবি রানার!
হে দুর্জয় কবি রানার!
শেষ হোক পুরানো মৃত কাব্যের শেষ অধ্যায়।
সূচনা করো কবি নতুন কাব্যে এক ফুটন্ত নতুন সকাল।
দিন আগত। সেদিন আসছে। অশান্ত কবি লেখনীর উত্তাল তরঙ্গে
তাই এবার জেগে উঠুক মহাকাল।
লেখনীর অগ্ন্যুদ্গারে, আগুন জ্বলুক দিকে দিকে।
ছুটে চলুন রানার কবি রানার বিদ্যুতের বেগে।
লাল রক্তে লেখা হোক এবার নতুন কাব্য,
নতুন কবিতা, নতুন কবির কাব্য সম্ভার।


রানার কবি রানার,
হে দুর্ধর্ষ কবি রানার।
তব লেখনী হোক দূর্বার, দুর্নিবার।
মুছিয়ে দিক অশ্রু এই বসুধার।
করুক ছিন্ন শৃঙ্খল রুদ্ধ কারার।
রানার কবি রানার! প্রিয় কবি সবাকার।