রথযাত্রার মেলা আজি
            কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


সবাই টানিছে রথ সবুজ ডাঙায়,
বসেছে রথের মেলা গ্রাম সীমানায়।
রথযাত্রা ধূমধাম সারাদিন ধরে,
এসেছে সবাই রথে নববস্ত্র পরে।


জয় জগন্নাথ বলি উঠে জয়ধ্বনি,
জননীর হস্ত ধরি চলে সোনামনি।
জন কোলাহলে ভরে মেলার প্রাঙ্গন,
দোকানের পাশে ভিড় করে লোকজন।


হাঁকাহাঁকি ডাকাডাকি মহা কোলাহল,
ঝুমঝুমি, বাঁশি আর রবারের বল।
কাঠের পুতুল বেচে ও পাড়ার বিশু,
পুতুল পেয়েছে তাই খুশি ছোটশিশু।


দিনশেষে মেলা ভাঙে ঘরে চলে সবে,
ছুটিছে গোরুর গাড়ি, উচ্চ কলরবে।


আমার পূর্বপ্রকাশিত কবিতা


রথযাত্রার মেলা
         কলমে - লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


রথযাত্রায় জন সমাগম
আজকে রথের মেলা।
আকাশ ঘিরে মেঘ করেছে
আজকে সকাল বেলা।


একটুপরেই মেঘ কেটে যায়
লাল সূর্য ওঠে হেসে।
পথের পাশে দোকান সাজায়
দোকানীরা সব এসে।


পাড়ার মাঠে সাজানো আছে
রাঙাপথে রথখানি,
জয় জগন্নাথ বলে সবাই
রথ নিয়ে যায় টানি।


বসেছে আজ রথের মেলা
গাঁয়ের পথের ধারে,
বিশাল মাঠে সার্কাস খেলা
দোকান সারে সারে।


ঝুমঝুমি আর খেলার পুতুল
চিরুনী আর আয়না,
তাল পাতার কিনবে বাঁশি
ধরেছে খোকা বায়না।


খুশির দিনে বকুনি খেয়ে
কাঁদছে খোকন সোনা,
তাল পাতার বাঁশি কিনতে
তার মা করেছে মানা।


রথের মেলায় সবাই খুশি
কাঁদছে খুকি বসে,
মা ভাই তার হারিয়ে গেছে
রথের মেলায় এসে।


রথের মেলা                    
কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


গাঁয়ের মাঠে বসেছে আজ
                 রথযাত্রার মেলা,
ম্যাজিক শো, পুতুল নাচ ও
                 সার্কাসের খেলা।


ছোট বড় দোকান কত
                 বসেছে সারি সারি,
হরেক মাল পাঁচ সিকে,
                 ডাকছে গলা ছাড়ি।


তেলেভাজা, ফুলুরি আর,
                  সন্দেশের দোকান,
মাইকের বিকট চিৎকারে
                  ঝালাপালা কান।


পাঁচ আনায় কেনা পুতুল,
                  তিন আনায় বাঁশি,
তার চাইতেও বেশি দামী                          
                 শিশুর মুখের হাসি।


হাসির চেয়েও কান্না দামী
               আজকে রথের মেলায়,
মেলায় গিয়ে খেলনা কেনার
               পয়সা যাদের নাই।


দাওয়ায় বসে কাঁদছে খুকি,
                আজকে সারাবেলা।
রাগ করেছে, যাবে না আর
                আজকে রথের মেলা।