পূর্ব প্রকাশিত কবিতার সাথে আরও দুটি স্তবক যুক্ত করে আমার সম্পূর্ণ কবিতাটির প্রকাশ দিলাম। জীবনের সহস্রবিধ বাধা, বিপদ আর একবুক যন্ত্রণা নিয়ে আমাদের জীবনে চলার পথ শুরু হয়। ভাঙা গড়ার ইতিহাস রচিত হয় প্রতি প্রত্যেকের জীবনে। কবিতাটি জীবনে চলার পথের ধ্রুবতারা হয়ে পথ দেখাবে, কবিতাটির অন্তর্নিহিত তাত্পর্য বুঝতে পারলে সবার জীবন আলোকময় হয়ে উঠবেই এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস।


সন্ধ্যা হয়ে এলো (দ্বিতীয় পর্ব)
              -লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


সন্ধ্যা হয়ে এলো আঁধার ঘনালো
                   জীবনে আঁধার এলো নেমে,
নদীমাঝ থেকে তরীখানি এসে
                   কিনারায় এসে গেলো থেমে।


দুঃখসাগরে আমি ভাসালাম জীবনতরী
ভাসলাম আঁখিজলে সারাটি জীবন ধরি,
ওগো গুরুহরি, দেহ তব শ্রী চরণতরী,
                     মতি যেন থাকে তব শ্রীচরণে।


সন্ধ্যা হয়ে এলো আঁধার ঘনালো
                   জীবনে আঁধার এলো নেমে।


প্রথম আমি যবে আসলাম ভবে
                        কেঁদেছিলাম একা আমি,
সেই কান্না শুনে বিধি মনে মনে
                        হেসেছিলেন অন্তর্যামী।


কান্না দিয়ে জীবন গড়া কান্নায় জীবন শুরু,
মানুষের কান্নায় বুক মোর করে দুরু দুরু
চলার পথে গুরু তিনি ভক্তবাঞ্ছা কল্পতরু
                          তুমি মোর জীবনস্বামী।


প্রথম আমি যবে আসলাম ভবে
                        কেঁদেছিলাম একা আমি।


তব নাম স্মরণ করি আমি
                        কত  দুঃখ সইতে পারি,
সুখের আশায় ভাসিয়ে তরি
                        আমি  দিতে পারি পাড়ি।
পতিতপাবন তুমি এ ভবের কাণ্ডারী,
কেঁদে কেঁদে কয় শ্রী লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী,
পারলাম না রাখতে গোটা দুই কড়ি
                         ডুবে যাবে এ জীবন তরী।
তব নাম স্মরণ করি আমি
                        কত  দুঃখ সইতে পারি।


বাংলা কবিতার আসরের শ্রদ্ধেয় কবিগণকে সশ্রদ্ধচিত্তে জানাই আন্তরিক প্রীতি আর শুভেচ্ছা আর কৃতজ্ঞতা।


সকলের জন্য শুভকামনা রইল। কারো পাতায় আজ যেতে পারি নি। এর জন্য বিশেষভাবে দুঃখিত ।


সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয় গুরু! জয় গুরু! জয় গুরু!