শরতের আগমনী-পূজোর কবিতা সংকলন
চতুর্থ পর্ব- পূজোর কবিতা-৪
কবি-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


শরতের শিউলি ঝরা ভোর আমাদের অন্তরজুড়ে স্নিগ্ধতার প্রলেপ বিছিয়ে দেয়। ক্ষণিকের অতিথি এই শরৎ। শরতের এ সময়টা শস্যপূর্ণা। ধানক্ষেত এ সময় ফল সম্ভাবনায় পরিপূর্ণ। মাস দু–এক পরেই কৃষকের গোলা ভরবে ধানে। কিষাণীর নোলক দোলানো হাসি বলে দেবে পরিতৃপ্তির কথা। শরৎ আনন্দের ঋতু। শরৎপূর্ণতার ঋতু, প্রাচুর্যের ঋতু। এমনি ঋতুকে কি ভুলে থাকা যায়?


শরৎ প্রকৃতিকে অপরূপ রূপে সাজিয়ে যায় যার আবেশে অতি সাধারণ মানুষ ও ভাবাবেগে আপ্লুত হয়। শরৎ অবসাদগ্রস্ত মনেও নতুন প্রেরণার সঞ্চার করে। শরতের আগমনে বাংলার প্রকৃতি থাকে নির্মল স্নিগ্ধ। শরতে আকাশের মতো আকাশ আর কোন ঋতুতে দেখা যায় না।


শরৎকালের রাতে জ্যোৎস্নার রূপ অপরূপ। মেঘমুক্ত আকাশে যেন জ্যোৎস্নার ফুল ঝরে। চাঁদের আলোর শুভ্রতায় যেন আকাশ থেকে কল্পকথার পরীরা ডানা মেলে নেমে আসে পৃথিবীতে।


অপরূপ বিভাও সৌন্দর্যের কারণে শরৎকালকে বলা হয়ে থাকে ঋতু রাণী। মানুষ মাত্রই শরৎ কালে প্রকৃতির রূপ–লাবণ্য দেখে মোহিত না হয়ে পারে না। শরতের সৌন্দর্য বাংলার প্রকৃতিকে করে তোলে রূপময়। ভাদ্র আশ্বিন এ দু’মাস শরৎ ঋতু। বর্ষার পরের ঋতুই শরৎ। তাই শরতের আগমনে সবার হৃদয় আনন্দে নেচে ওঠে।


শরতের আগমনী-পূজোর কবিতা সংকলন
চতুর্থ পর্ব- পূজোর কবিতা-৪
কবি-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


শরতের আগমনে প্রফুল্ল হৃদয়,
পূরব দিশায় হয় অরুণ উদয়।
রাঙিল ভুবন আজি অরুণ আভায়,
ফুলের সৌরভ ভাসে বাতাসের গায়।


ফুল বনে ফুল শাখে ফুটে ফুলকলি,
মধু আহরণে আসে গুঞ্জরিয়া অলি।
ভোরের আলোয় মুক্ত নিশির শিশির
দূর্বাদল-বৃন্ত হতে ঝরে ঝির ঝির।


তরুশাখে পাখি সব করিছে কূজন,
শারদ আকাশে শুভ্র মেঘের গমন,
শুভ্র মেঘপুঞ্জ ভাসে আকাশের গায়,
দুই ধারে কাশ ফুল নদী কিনারায়।


শরতের আগমন হেরি বসুধায়।
লিখেন লক্ষ্মণকবি তার কবিতায়।