শারদ আকাশে সাদা মেঘ ভাসে
পূবেতে উঠিল রবি,
শিশিরে ভেজানো ঘাসের আগায়
দেখি যে মুক্তোর ছবি।


নদীর দুকূলে সাদা কাশফুলে
ভরে আছে চারিধার,
সোনালী রোদ্দুর ঝরে নদীচরে
মাঝি করে খেয়াপার।


শাল পিয়ালের বনে বনে শুনি
বন মুরগীরা ডাকে,
মাদলের তালে সুরে বাঁশি বাজে
অজয় নদীর বাঁকে।


বাতাসে বাতাসে পূজোর আমেজ
পূজো এসে গেল কাছে,
ঢাক ঢোল বাজে কাঁসর বাজিছে
পুলকে হৃদয় নাচে।


দূরে ভেসে আসে আগমনী গান
গাছে গাছে পাখি গায়,
মাঝি আনমনে তরী বেয়ে যায়
আনে তরী কিনারায়।


অজয়ের ঘাটে ভিড়িল তরণী
ছুটে আসে যাত্রীদল,
কাশফুল বনে শালিকেরা নাচে
সুশীতল নদীজল।


পড়ে আসে বেলা অজয়ের কূলে
নদীতটে বালুচরে,
পড়ন্ত বিকেলে অজয়ের জলে
সোনালী কিরণ ঝরে।


পাখিরা উড়িছে আকাশের গায়
ফিরিছে আপন নীড়ে,
দিনের শেষে বেলা পড়ে আসে
অজয় নদীর তীরে।


মন্দিরে বাজিছে কাঁসর ও ঘন্টা
ঢাকীরা বাজায় ঢাক,
রাতের আকাশে চাঁদ তারা হাসে
শুনি শেয়ালের হাঁক।


জোছনা ঝরে নদীর বালুচরে
অজয় নদীর জলে,
পূবের আকাশ লাল হয়ে ওঠে
রাত্রি প্রভাত হলে।