শারদ অর্ঘ- ১৪২৬ কবিতা সংকলন
আগমনী কাব্য-২
                   কবি-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


ভাদ্র ও আশ্বিন—এই দুই মাস নিয়ে শরৎকাল। কিন্তু ভাদ্রের মাঝামাঝিতেও দখল ছাড়তে নারাজ বর্ষা। যে শরৎকে দেখে আমরা গাই ‘আমার রাত পোহালো শারদ প্রাতে’, সেই অপরূপ ঋতুর সঠিক রূপটি ফোটে কিন্তু আশ্বিনেই।


বর্ষার বিদায়ে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন,
‘কালো মেঘের আর কি আছে দিন, ও যে হলো সাথী হীন।’ ভাদ্র মাসেও তো সাথিহীন হওয়ার লক্ষণ নেই কালো মেঘের।
নীল আকাশের সাদা মেঘের আনাগোনা হটিয়ে
আর শরৎ-সোনার আলো নিভিয়ে দিয়ে
বর্গীর মতো হঠাৎ হঠাৎ হামলা দেয় কালচে
ধূসর মেঘ। ভাদ্রের শেষেও।


আবহাওয়াবিদেরা বলেন, শরৎকালে মেঘের রং সাদা হওয়া কাম্য। নইলে বিলম্বিত বর্ষার ভয় থাকে। সময়ের বর্ষা যেমন প্রকৃতির আশীর্বাদ, অসময়ের অতিবৃষ্টি তেমনি অভিশাপের মতো। বিলম্বিত বর্ষার সঙ্গে সঙ্গে আসে বন্যা, রোগ আর ফসলনাশ।


শারদ অর্ঘ- ১৪২৬ কবিতা সংকলন
কবি-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


আগমনী কাব্য-২  
সুর – আগমনী (প্রচলিত)


ঐ আসে, মোর উমা আসে
আসে এক বছর পরে।
মায়ের ব্যথা কেউ বোঝে না
কাঁদে সারা বছর ধরে।
ঐ আসে, মোর উমা আসে……….


মা আর মেয়ে বহুদিন পরে
আহার করে একসাথে,
সারা বছর ঘুম আসে না
জেগে রয় মা মাঝরাতে।
ঐ আসে, মোর উমা আসে……….


ঐ আসে, মোর উমা আসে
আসে এক বছর পরে।
মায়ের ব্যথা কেউ বোঝে না
কাঁদে সারা বছর ধরে।


সপ্তমী অষ্টমী তিথি নবমী
শেষে বিজয়া দশমীতে,
সবার কাছে বিদায় নিয়ে
মা আসেন কৈলাসেতে।
ঐ আসে, মোর উমা আসে……….


ঐ আসে, মোর উমা আসে
আসে এক বছর পরে।
মায়ের ব্যথা কেউ বোঝে না
কাঁদে সারা বছর ধরে।