শ্রী শ্রী মহালক্ষ্মীর ব্রতকথা ও ধর্মীয় কবিতা
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


দুর্গাপুজোর পর এবার লক্ষ্মীপুজোর পালা। আশ্বিন মাসের শেষ পূর্ণিমায় হয় কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। চলতি বছর দু'দিন লক্ষ্মীপুজো করা যাবে। কারণ পূর্ণিমা তিথি শুরু হবে ১৯ তারিখ সন্ধ্যায়, যা ২০ তারিখ রাতে শেষ হবে।


বাংলার ঘরে ঘরে সারা বছর ধরে, বিশেষত প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মী পুজো করা হয়ে থাকে। কিন্তু আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এদিন ভক্তের বাড়ি এসে বিরাজ করেন লক্ষ্মী এবং অঢেল ধন-সম্পত্তির আশীর্বাদ দিয়ে যান। কোজাগরী শব্দটির উৎপত্তি ‘কো জাগতী’ থেকে।


শ্রী শ্রী মহালক্ষ্মীর ব্রতকথা
ধর্মীয় কবিতা (প্রথম পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


শারদ পূর্ণিমা তিথি লক্ষ্মীপূজা হয়,
ঘরে ঘরে আনন্দের স্রোতধারা বয়।
মালক্ষ্মীর পূজা হয় প্রতি ঘরে ঘরে,
আলপনা এঁকে সবে লক্ষ্মীপূজা করে।


ঘট পরে নববস্ত্র নারিকেল রাখা,
ধান্য দূর্বা পত্রপুষ্প আর আম্রশাখা।
সুগন্ধি চন্দন মধু, ঘৃত দুগ্ধ আর,
সুমিষ্টান্ন ফল-মূল হরেক প্রকার।


সম্মুখেতে পুরোহিত বসিয়া আসনে,
করিছেন পূজাপাঠ ভক্তি যুক্ত মনে।
হোমযজ্ঞ সাঙ্গ করি হয় পুষ্পাঞ্জলি,
সর্বশেষে হয় পাঠ লক্ষ্মীর পাঁচালি।


সকলে প্রার্থনা করে হস্ত জোড় করি,
মোদের গৃহেতে থাক বর্ষ বর্ষ ধরি।
পূজা শেষে অন্নভোগ হয় বিতরণ,
মহালক্ষ্মী কাব্যগাথা লিখিল লক্ষ্মণ।