কালী কালী মহাকালী দেবী আগমনী…..শুভ দীপাবলীর
আগমনী স্তবগাথা- পঞ্চম পর্ব


দেবী আসছেন! বেজে ওঠে মহাশঙ্খ।
ঢাকের শব্দে, কাঁসরের ঝংকারে
আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হয়।
চতুর্ভূজা মা কালী দেবীচণ্ডিকার আবির্ভাবে
তাঁর আগমনী বন্দনা গীতিতে
বিশ্ববাসীর কণ্ঠে ধ্বনিত হয়।


“কোথা তুমি শঙ্খ চক্র খড়্গ মহাস্ত্রধারিণী
কালী কপালিনী মা ছিন্নমস্তা!
তুমি ওঠো তুমি জাগো।
তুমি না জাগলে সন্তানকূল ঘুমিয়ে পড়বে।
সন্তানকে অভয় দাও মা আদ্যাশক্তি মহামায়া”।


তুমি শক্তি, তুমি ভক্তি!
তুমি কলাকাষ্ঠা, কালরূপে অবস্থিতা,
তোমার পূণ্য স্তবগাথায় দিকে দিকে
ধ্বনিত হোক মঙ্গলশঙ্খ, জ্বলে উঠুক
মঙ্গল দীপ, প্রজ্বলিত হুতাশনের
দেদীপ্যমান কিরণে ধরণীর কোণে কোণে
ঘনঘোর তমসা বিদুরিত হোক।
ধরণী হোক প্রাণময়ী। হে মা কল্যাণময়ী!
তোমার আগমনে সারা বিশ্বচরাচরে
বিশ্ববাসীর স্বীয় কল্যাণে বিশ্ববাসী
গেয়ে উঠুক–


তারা তুমি, তুমি মা কালী,
তুমি দুর্গা মহামায়া।
তুমি শক্তি, তুমি মা ভক্তি
তুমি কালরূপী ছায়া।


প্রণাম মন্ত্র:
কালী কালী মহাকালী কালিকে কালরাত্রিকে।
ধর্ম কাম প্রদে দেবী নারায়ণী নমোহস্তুতে।।


আর তো মাত্র কয়েক দিন। তারপর আসছেন মা রণচণ্ডী কালী কপালিনী মা ছিন্নমস্তা। কবিতা আসরের ও সাহিত্য আসরের সকল কবি, লেখক, সাহিত্যিক, কাব্য-গীতিকার, চিত্রশিল্লী, আবৃত্তিকার ও সহৃদয় পাঠকবর্গকে জানাই শুভ দীপাবলীর আগাম শুভেচ্ছা। জয়গুরু!


শ্যামামায়ের গীতিকবিতা।
কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


জয়কালী বলো মন রসনা
পাবে মায়ের রাঙা চরণ,
চরণ পূজা করলে পাবে
শ্যামা কালী মায়ের দর্শন।


মায়ের নামে পূজা দিলে
মনের মাঝে শান্তি মিলে
অভয় মন্ত্রে দীক্ষা নিলে
তবেই শান্ত হয় যে মন।


মনে মনে মাকে ডাকো
জানবে না কেউ অন‍্যজন।
জয়কালী বলো মন রসনা
পাবে মায়ের রাঙা চরণ।


কবি লক্ষ্মণ ভেবে বলে
জবাফুল আর বিল্বদলে
শ্যামামায়ের পূজা করলে
মা যে হয় আপন জন।


জয়কালী বলো মন রসনা
পাবে মায়ের রাঙা চরণ।
অভয় মন্ত্রে হৃদয় যন্ত্রে
রাখো মাকে সর্বক্ষণ।