[ভাদ্র মাসের সংক্রান্তির দিন একটি পাত্রে ফুল রেখে ভাদুর বিমূর্ত রূপ কল্পনা করে পুজো করেন গ্রামের মেয়েরা। আবার বহু জায়গায় লক্ষ্মীর আদলে ভাদু মূর্তিও তৈরি হয়। প্রসাদ হিসেবে তৈরি হয় বিশেষ জিলিপি আর খাজা। এই নিয়ে একটি আঞ্চলিক ভাদুগান ও আমার গীতিকবিতা।]


আঞ্চলিক ভাদুগান ও  আমার গীতিকবিতা (দশম পর্ব)
কথা - আঞ্চলিক  সুর - অপ্রচলিত
কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


ভাদু তুমার তরে,
রসগোল্লা এন্যাছি মালসায় করে।


বর্ধমানের মিহিদানা গো.... সীতাভোগ আর মতিচুর,
আয় সরলা, আয় কমলা, শ্বশুর-শাশুড়িকে দিবি তুর।


ভাদু তুমার তরে,
রসগোল্লা এন্যাছি মালসায় করে।


লবশনের মোরব্বা ভালো গো হিজলগড়ার বাতাসা,
শক্তিগড়ের ল্যাংচা ভালো খ্যাইলে মিটিবেক আশা।


ভাদু তুমার তরে,
রসগোল্লা এন্যাছি মালসায় করে।


দুবরাজপুরের কদমা ভালো গো দোমাহানির জিলিপি,
আয় সরলা, আয় কমলা বল না মিষ্টি তুই খাবি কি?


ভাদু তুমার তরে,
রসগোল্লা এন্যাছি মালসায় করে।


জামুড়িয়ার খাজা গজা গো রাণীগঞ্জের চিত্তরঞ্জন,
আসানসোলের রাজভোগ খ্যাইলে পরে ভরে মন।


ভাদু তুমার তরে,
রসগোল্লা এন্যাছি মালসায় করে।