আজো তোমার পানে চেয়ে থাকি প্রতি নিশিতে
উঠানে উপর বসে চেয়ার পেতে ওগো দীপ্ত চন্দ্রিমা,
জানো! আমি আজো প্রতি বৈকালে যায়
তোমার তীরে শোন ওগো সুশ্রী গড়াই নদী,
তোমার তরে ঐ যে ওপারে নোঙ্গর ফেলানো তরী
এপার থেকে ডাকিয়া কহে যাত্রী মাঝি ভাই ও
মাঝি ভাই আমাদের তুমি নিয়ে যাও পার করি।
সবুজ প্রান্তে মৃদু বাতাসে সোনালী ফসল হিন্দোলে,
চাঁদ বদনী হাসে খিল খিলিয়ে পল্লী জননীর কোলে।
প্রত্যুষে পাখিদের ঘুম ভাঙ্গানো গানের আসরে,
বাধ্য হতে হয় অলস ভেঙ্গে উঠতে শয্যা ছেড়ে।
একদিন আর হবে না দেখা তোমাদের কারও শনে
যেতে হবে আমায় চলে যেতে হবে সেদিন অতি গোপনে।
আমি চলে গেলে আর কোনদিন ফিরে আসবোনা
এই ধরণীর বুকে কিংবা তোমাদের কাছে,
কবিতা লেখা হবেনা আর কভু কোনদিন জ্যোৎস্না রাতে
আমের বনে অথবা নদীর তীরে খেয়া র পাটাতনে বসে
চন্দ্র সূর্য তাঁরা নদী মাটি জল, বলো তোমরা
আমায় একটু বলো,অচেনা এক দেশে গিয়ে
তোমাদের রেখে আমি কেমনে থাকবো বলো।
তবুও আমায় চলে যেতে হবে নড়লে যমের কল।
বিদায় দিও হাসিমুখে আমাকে চিরবিদায়
সহসা যদি কাহারও কভু মনে পড়ে আমায়
একখান চিঠি লিখে পাঠিয়ে দিও অম্বরের ঠিকানায়।
আমি পড়ে নেব আর বুঝে নেব তোমরা এখনও
ভুলে যাওনি আমাকে অধিক ভালোবাসো আমায়।