সবারে করি নিমন্ত্রণ আয়রে তোরা
আয় দেখে যা আমার জন্মভূমি,
পাখিদের গান ফসলের ঘ্রাণ আরও
হাওয়ার তালে সবুজ তৃণের নাচুনি।
দেখে যা উদ লা মাঠে রৌদ্র তাপদাহে হর্ষে
গান গাওয়া সেই রাখালের বদন খানি।
ঐ যে গাঁয়ের মাঝে  প্রান্ত কোণে খাল
বয়ে গেছে ব্যাপ্ত জল বক্ষে ধরে,
নিত্য কিষাণ জল তুলে দেয়
ফসলের পর স্যালো কিংবা কুম্ভ ভরে।
বৈকালেতে কিশোরের দল গগনে
ঘুড়ি তুলে দেয় পাখনা টা মিলিয়ে,
আম কাঁঠালের বনের ছায়ায় মৃদু পবন
সেথায় নিলে ঠাঁই পরান যাই জুড়িয়ে।
কারিগর পাড়ায় তাঁতী দের সটাং ঘটাং
শব্দে চলছে বসন তৈয়ার মেলা,
মণ্ডল পাড়া মেতে উঠে হর্ষে যদি
শুনে আজ জমবে কাবা ডি খেলা।
মোরা সবাই সমান ছোট বড়তে
ভেদাভেদ নেই থাকি মিলেমিশে,
এক সাথে চলা এক মতে বলা দর্শন
করি বদন মোরা প্রতিদিন প্রত্যুষে।
মায়ের কোলে শিশু হিন্দোলে মুখে
পাখির কূজন আহা কি মধুর লগন,
দল বেধে ছেলে মেয়েরা সবাই
বই বুকে ধরে পাঠশালায় করছে দেখো গমন।
গোধূলি বেলায় কিরণ নিভে যাওয়ার
বাটে রুপালী জ্যোৎস্নার আগমনে,
নক্ষত্র সহিত চাঁদ মামা হাসে ঝরোকা
খুলেই মা চেয়ে থাকে তার পানে।
একটি নয় গো দুটি নয় অষ্ট পাড়া
মিলে একটাই তার নাম,
আমি ভূমিষ্ঠ তে তর্জনে মাতি আট-প্রহরে
এত দীপ্ত সুশ্রী আমাদের সাঁওতা গ্রাম।