আমি অবহেলিত, আমি ভর্ৎসিত, আমি আজ
এ ধরণীর বুকে বারনারী বলে পরিচিত।
এখন আমি এই দেহটা কয়েক শত টাকা মুল্যে
উজাড় করে দেই প্রতি দিবস ও নিশিতে,
সে আমারে কভু দেয়নি ঠাঁই, তাই
রোজ রাতে বদলায়,পর মানুষের হাতে হাতে।
জীবনের চেয়েও সে ছিলো আমার কাছে অনেক দামি,
তাই যখন যা চাইতো সে আবদার পূরণ করেছি আমি।
চাহিদা মেটাতে আমি গিয়েছি কত নিশ্চুপ নিরালায়,
কাটিয়েছি কত রাত শুধু দু,জনে আবাসিক হোটেলে,
কিছু দিন পর হঠাৎ কাতর হয়ে পরি ব্যথার যন্ত্রণায়।
বাড়িতে সবাই দেরি না করে নিয়ে গেলো হাসপাতালে।
আমি নাকি অন্তঃসত্তা পরীক্ষা করে পাওয়া গেছে,
বাবা মা তো গালাগালি করে পর করে দিয়ে
আমায় রেখে নিজের বাড়িতে গেলো চলে.
আমি যাব কই জায়গা তো নেই অবশেষে বড় আশা
বুকে নিয়ে ছুটে গিয়েছিলাম তাহার কাছে।
তাকে সব কিছু বললাম খুলে কিন্তু সে আমার কথা
বুঝেও না বুঝার ভাব করে সেদিন তাড়িয়ে দিয়েছে।
বেশি কিছু চাওয়া পাওয়া ছিলোনা আমার
শুধু চেয়েছিলাম তার শনে থাকতে জনম ভর।
পাষাণের মত সে আমাকে করে দিলো পর,
বাবা মা সঙ্গের সাথী সবাই ছেড়ে গিয়েছে
জীবনে কেউ থাকলো না আর আমি হইলাম যাযাবর।
কি আর করবো? বেছে নিলাম নিজের মত করে
আজ শত শত মানুষ দিবস ও নিশিতে আমায় বরণ করে।
অবশেষে বলি বাংলার যত বোন, শোন রে তোরা শোন,
সাবধান থাকিস ভুল করিস না তোরা কেহ আমার মতন।