কোন স্মৃতি দিয়েছে হানা, ঘিরেছে মনে ?
রোদনোদয় হয়েছে কোন বা বেদনে ?
এ বিজনে চুপি স্বরে বসিয়া সেই বৃক্ষ তলে
পড়ছো মনোযোগে আমার চিঠি খানি খুলে।
পড়ে ছিলে না তো যবে দিয়েছিলাম আমি
কি এমন ক্রোধে সেদিন চলে গেলে তুমি
সেদিন তো হয়েছিলে দুর্বার, দুর্বিনীত
আর এই আমাকে করেছিলে অবমানিত।
কোন তরু-তলে বসে আছো জানো কি তুমি ?
তোমার পাশেই ঝরে পড়ে থাকা বৃক্ষের পল্লব
ছুঁয়ে দেখো, কেঁদে উঠবে মর্মর করে করুন সুরে।
দৃষ্টি মেলে চেয়ে দেখো থম থম চারপাশ,
মধ্যাহ্নে'র সেই সোনালী রোদ এখন আর-
মিষ্টি হয়ে জ্বলে না, বহ্নি হয়ে জলে,
কোকিল আর ডাকে না কলতানে ঐ বৃক্ষের ডালে।
সেদিন আমি পুষ্পমাল্য হস্তে এসে দাঁড়িয়ে ছিলাম-
তোমার পাশে সেথা তোমায় দেবো বলে,
মনে ছিলো আকাশ ছোঁয়া উল্লাস,
তুমি দম্ভে'র চটে আমাকে করেছিলে ভর্ৎসিত,
গড়েছিলে দুটি আঁখিতে সিন্ধু দিয়েছিলে অথৈ জল,
মন দিয়ে শোন শুনতে পাবে, ঐ শ্যামলিমা-ক্ষেত্র
তোমাকে ডেকে বলছে তুমি করেছিলে সর্বনাশ,
ওরা এখন শুধু আমরি জন্য করছে হা হুতাশ।
অমন করুন চাহনিতে এখন ঐ বিগতের চিঠি খানি ধরে
কি লাভ হবে পড়ে? পাবে না আমাকে আর কোনদিন
তোমার নামে ডাকা সেই অচল পথচারী ভিখারি-
আমি এই নিজেকে নিয়েছি সফল করে।
বিগতের চিঠি খানি ধরে কোন লাভ নেই পড়ে।