ভালোবাসা এসে ছিলো জীবনে
আহা কি মধুর নিশি লগনে
মগ্ন ছিলাম দুজন প্রেমালাপনে।
জান, একটা গান শোনাবে?
ফুল তোমার মাথা ঠিক আছে তো,
এত রাতে তুমি গান শুনবে?
হ্যাঁ শুনবো, দ্রুত শোনাও,
জানো কি কয় টা বাজে?
জানি, রাত দুইটার বেশি বাজে।
তুমি জানো কি আজকের খবর?
জানি, আজকে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস,
আজকের এই দিন টা শুধু বকুল-ফুলের ।
এই মাধুরী লগনে আমি সেরা আমি ধন্য
চেয়ে দেখো, চন্দ্র-তাঁরা জোনাকিরা
আলো জ্বেলে দিচ্ছে পাহারা দু’জনার জন্য।
এমন সংসর্গ টা এক নিমেষে ভেঙ্গে চুরে
চলে গেছে ফুল, আমায় ছেড়ে ওপারে।
সে বুঝি ঐ দূর আকাশে বেঁধেছে বাসা,
বছর ঘুরে আবার এলো যে ভালোবাসা।
গৌধূলী বেলায় একা এই তটিনীর কূলে,
সে যদি ফিরে আসে, আমি ডেকে ডেকে
চেয়ে থাকি চোখ তুলে।
ফুল… এই ফুলি, জান..
তুমি কি শুনতে পাও আমার কথা,
না, শুনতে পায় না, কি করি?
হে আকাশ বন্ধু, একটু বলো না ফুলকে,
বলো বকুল তোমায় ডাকে।
বুঝেছি, ফুল শুনতে পাচ্ছে না
শুধু ঐ পেঁচা মেঘের জন্যে।
তবে কি হিমালয় বেয়ে আকাশ বন্ধুকে ছুঁয়ে
ঐ পেঁচা মেঘ টাকে দিব সরিয়ে?
জান, শুধু একবার নেমে এসো ধরাতে,
আমায় একা ফেলে, তুমি কোথায় হারিয়ে গেলে?
আমি তো চাইনি তোমাকে হারাতে।
তুমি বলেছিলে আমি যদি কভু হারিয়ে যায়
আমাকে পাবে শ্যামালিমার মাঝে,
মধুপের সুরে, বিহঙ্গের গানে,বৃক্ষের ছায়ায়,
বসন্ত বাতাসে, চন্দ্র সূর্য তাঁরার মাঝে,
তটিনীর বুকে, আকাশের ঠিকানায়।
কই তুমি? তোমাকে তো খুঁজে পাই না আমি।
জান, তুমি কি শুনতে পাচ্ছো না
আমার বুক ফাটা চিৎকার?
তুমি দেখতে পাচ্ছো না আমার চোখের জল?
কে দেবে আমার মুখে তুলে অন্ন?
কে দেবে ঘুম পারিয়ে শাড়ির আঁচল খানি পেতে?
আর কে করবে প্রেমালাপন,
নিশি জেগে হাত রেখে হাতে?
তুমি এত নিষ্ঠুর হতে পারো না ফুলি,
ঠিক আছে, শুধু আজকের দিনটা
আমার সাথে সময় দাও,
দিন শেষে না হয় আবার চলে যাও।
এলে না তুমি? আমি যাবো, দেখতে পাবে
হঠাৎ তোমার কাছে চলে গেছি,
সাজিয়ে রেখো বাসর চন্দ্র তাঁরা দিয়ে
আমি শীঘ্রই তোমার কাছে আসছি।