বিকেলে আড্ডার শুরুতে চায়ের দোকানে
গিয়ে নয় কাপ চায়ের অর্ডার,
চা শেষে আমাদের বায়না হতো ফুটবল
মাঠে ঐ খোলা আকাশের নিচে বসিবার।
কয়েক জন বন্ধু মিলে বসিলে সেথায়
জম তো খুশির লগন,
কোথায় কখন যে হারিয়ে গেলো সেই
আমাদের উল্লাসী জীবন।
সাইফুল ছিলো বাবার একটি মাত্র ছেলে
পেয়েছে পুলিশের চাকরী,
কি যেন কি কারণে হঠাৎ আত্মহত্যা করলো
ঈদের ঐ দিবা গত রাত্রি।
মরার খবর শুনে আমাদের সবার মনে
লেগেছে ভীষণ কষ্ট,
আত্মহত্যা তো মহাপাপ সবার প্রশ্ন সাইফুল
কেন করলো এমন ভ্রষ্ট।
মেহেদি এখন ভালোই আছে সেনা বাহিনী
তে নতুন চাকরী পেয়ে,
শিমুলের বড় অভাব চলছে নতুন সংসার
সামলাতে গিয়ে।
আশরাফুল ব্যস্ত অভাবের সংসারে জোড়া
তালি দিতে চাকরী এখনও মেলে নি,
মিলন এখন ব্যস্ত থাকে বিভিন্ন জায়গায়
হাতে নিয়ে টিউশনি।
জাকির সে তো অনেক আগেই ছেড়ে
দিয়েছে সঙ্গ সবার সাথে,
সম্রাটের সাথে দেখা মেলে কম সকালে যায়
বাড়ি ফিরে আবার রাতে।
ব্যস্ত শহরে ব্যস্ত আমরা সবে তাই সেই মধুর
লগন বসে না আর,
এক সাথে চলা বলার সেই দিন গুলো হারিয়ে গিয়ে
খুবই কষ্ট পায় কিশোর আনোয়ার।