পানি শূন্য গড়াই নদীর এখন বক্ষে শুধু চর
সারি-বন্দি তরী গুলো সব নোঙ্গর ফেলানো তটে,
আজি প্রখর রবিকর মধ্যাহ্ন আকাশে
গাঁয়ের লোকেরা সংহতে এসেছে নানা ফন্দি এঁটে।
গাঁয়ের বধূরা নাইতে এসে বসন ধোয়ায় ব্যস্ত পাটে
আবার কেউ করে যায় স্নান,
ঐ যে কৃষাণ গাইছে মনের সুখে রং বে রঙ্গের গান।
বৈকাল হবে সূর্য মামা রাঙ্গিয়ে গগন
চলে যাওয়ার বাটে সন্ধ্যার আগমনে,
ঠিক তখনই গুটি গুটি পা চলছে আমার
ভাবে আছে মন লিখবে পদ্য তাই যাচ্ছি আমি
গড়াই নদীর পানে।
তারপর! আমি পড়ে থাকা সেই অচল ডিঙি র
পাটাতনের উপর নিলাম ঠাঁই,
প্রকৃতির সোভায় মুখরিত হাওয়ায় পরান টা হিন্দোলে,
আমি মুগ্ধ হয়ে শুধু পদ্য লিখে যায়।
হে দরিয়া, তব জল, বালি কণা, কাদামাটি
আজও মম গাত্রে গন্ধ ছড়ায়,
ছোট থেকে তোমার তরে লিখে বড় হই
তুমি আছো সেই খানেতেই আমি শুধু নেই।
পুরাণ ডায়েরী খুলে দেখি তোমায় লেখা ওগো নদী
বাঁক হীনতায় পড়ে দেখি আমার ছিলো অনেক দাবি।
ভুলিবোনা তোমায় তোমার অনেক অবদান
তোমারই কারণে এখন লেখায় আমায় প্রাণ।
ছুটে আসিবো আবার তব পানে সুযোগ পাই গো কভু যদি
তোমরাও আসবে তো! এসো, এসে একবার দেখো যদি
উন্মাদ হবেই কহিলাম মম চিত্ত বলে এত সুশ্রী
লাবণ্যময় মন-মুগ্ধে গড়া আমাদের গড়াই নদী।