ঐ যে দেখো বিলের জলে শাপলা দোলে
পাশে কলমি লতা হাসে,
ঐ ঐখানে তে দাঁড়িয়ে মৃদু বাতাস পেয়ে
হেলন চা শাক ও নাচে।
সেই গাঁয়ের ই ছোট্ট ছেলে বরষি হাতে
মাছ ধরিতে যায়,
বিলের ধারে স্বল্প জলে মাছ ধরে তার
খালুই ভরে যায়।
টেংরা পুঁটি খর শালা রূপ চাঁদা খালোইর
মধ্যে লাফালাফি করে,
ছেলে মেয়েরা নাইতে এসে উল্লাস করে
কলা গাছের ভেঁউয়াই চড়ে।
বাড়ির পাশের ঐ তাল গাছ টা আজও
একলা দাঁড়িয়ে থাকে,
আজও মনে পড়ে গুটি গুটি পায়ে দাদী শাক
তুলতে যায় তো বিলের বাঁকে।
দাদার তো নাটাই হাতে খোলা মাঠে ছিলো
বিকেলে ঘুড়ি উড়ানো র বাহার,
দাদা চলে গেছে দাদী চলে গেছে সেই
দিন গুলি খুঁজে পাই না আর।
মাতৃভূমি ওগো আমাদের প্রাণের কুষ্টিয়া জেলা
তোমার ধূলিকণা মেখে ধন্য,
লালন মীর মোশারফ রবি ঠাকুর আরো অনেকে
তাই তুমি হয়েছো বরেণ্য।
নদী নালা বিল হাওর বাওর খাল দেখে
প্রকৃতির এই রুপ,
ধন্য আমি জন্ম নিয়ে তোমার বুকে তুমি
আহা কি অপরূপ।