আমার মায়ের দেওয়া অতি সাধের সেই নূপুর,
হারিয়ে ফেলেছি আজকে আমি বেলা ঠিক দুপুর।
মায়ের কত যে কষ্টের ঘাম জড়ানো ঐ নূপুরের গায়ে,
কোথায় হারালাম পড়েনা মনে কেন বা দিলাম পায়ে।
তোমরা কেহ দেখেছো নাকি পড়েছে কারো চোখে?
বাড়িতে গেলে মা শুধিলে কইবো কি বা মুখে।
নূপুরের শোকে কষ্টের ঝোঁকে বুক ভেসে যায় জলে,
আর খুজিবো কোথায় ভাবছি শুধু বসিয়া নদীর কূলে।
অভাব আমাদের অনেক আপন কখনো হয়না পর,
এটা সেটা দিয়ে সংসার চলে অমরা দুঃখী জনম ভর।
মা আমারে খুব দিবে গাল এখন কেমনে যাব বাড়ি?
ঐ বৈকাল ও যে সন্ধ্যা নামিয়ে আমায় গেলো ছাড়ি।
হঠাৎ পিছন থেকে আমার নামে ডাক দিলো কে যেন,
বললো আয় বাড়ি আয় এখনও সেথায় বসে আছিস কেন?
আমি নিশ্চুপ হয়ে খুব ভয়ে ভয়ে গেলাম বাড়ির দিকে,
তোর নূপুর কোথায় রেখেছিস বল মা বলিলো ডেকে।
আমি করুণ রোদনে মায়ের চরণে হাত রেখে চাইলাম ক্ষমা,
আর বলিলাম একটি নূপুর হারিয়ে ফেলেছি খুঁজে পাচ্ছি না মা।
মাগো তুমি রাগ করোনা আমি এই করিলাম পণ,
শখের জিনিষ চাইবো না আর জীবনের মতন।
মা আমার দু,চোখের জল মুছিয়া জড়িয়ে নিলো বুকে,
বললো, নূপুর গেছে আবার দেব তাতে কি হয়েছে
আর দেখি না যেন জল মাখা তোর চোখে।