আমার বেলা চলে যাওয়ার বাটে,
বধূ আমার শিয়রে বসে
তন্দ্রায় দোলে ঝুলিয়ে চরণ খাটে।
সর্বহারা অসহায়ের মত চেয়ে আছে
ঐ জানালার দিকে,
হঠাৎ আমি তাকিয়ে দেখলাম
বদন খানি তার মলিন হয়ে গেছে
আমি হারিয়ে যাব সেই শোকে,
ঘন কালো মেঘ জমে জলে টলমল
তার ঐ কালচে পড়া চোখে।
বললাম মমতা, তুমি কি ভাবছো
তোমার চোখে জল কেন?
মমতা বললো, কই কিছু না তো,
ও.. আমি ঐ জানালার ফাঁক
দিয়ে দেখছি দুটো পাখির সুখ,
আমি আরও দেখছি রাতের সঙ্গে থাকা
চন্দ্র তাঁরা গুলোকে,
জানো, ওরা কিন্তু কোনদিন কেউ কাউকে
ভুলে যাবে না, ছেড়ে যাবে না কখনও।
আচ্ছা, তুমি ঘুমাও নি! জেগে আছো এখনও?
ঘুমিয়ে পড়ো আমি মাথায় হাত বুলিয়ে দেই,
তখন মমতা কে বললাম, আমার এ ঘুম যদি
চিরদিনের ঘুম হয়ে যায়?
মমতা কোন কথা না বলে চলে গেলো
আমার চরণ তলে,
সেথায় গিয়ে বলে তোমার এই চরণ ধরে বলি
আর কখনও যেন এমন কথা আসে না মুখে।
বললো, আমার কি দোষ যে সেই অপরাধে
তুমি আমাকে এমন সাজা দিবে?
ক,দিনই বা হলো তোমাকে কাছে পাওয়া
এভাবে আমাকে নিঃশ্ব করে চলে যাবে?
মমতার এমন বুক ফাটা কান্নার চিৎকারে
কষ্টের এক দল এসে আমার বক্ষে মারলো তীর,
আমার ক্ষমতা ছিলো না তখন চরণ থেকে তুলে
তাকে বুকে জড়িয়ে শেষ দেখা দেখবো,
ক্ষমতা ছিলো না ঘুমানোর আগে তাকে শান্তনা দিয়ে
দুনিয়ার বুকে স্মৃতি করে রাখবো।
বুকটা ব্যথায় চিরে খণ্ড খণ্ড হয়ে গেলো যখন
তখন চুপটি করে হাওয়ার পাখি টা উড়াল দিলো
আমার মাটির দেহ থেকে,
মরণ ব্যাধির আক্রমণে চলে যেতে হলো
ভালোবাসার মানুষকে দুনিয়ায় একা রেখে।