আমার ছোট্ট একটা ঘর, পাঠ-কাঠিতে ঘেরা দেওয়া
খড়ের ছাউনি মাথার উপর,
একটিমাত্র ছেলে ছিলো, সে এখন
মস্ত অফিসার, তাই বুড়ো বয়সের
বাবা মাকে করে দিছে পর।
অনেক দিন হয় জটিল রোগে
বিবি টা আছে বিছানায় পড়ে,
আবার উপশও আছে ক,দিন ধরে,
ক্ষুধার যন্ত্রনায় শুধু ফেলছে চোখের পানি,
আর আমি! আমি তো সারাদিন
বয়ে চলেছি কষ্ট নামের ঘানী।
পারিনা ব,লে রিকশা চালাতে
কত জন আমায় দেয় শুধু গালাগাল,
বলো তোমরা এই বুড়ো বয়সে আমার
দেহে কতই থাকতে পারে বল?
লাঞ্ছনা গঞ্জনা মাঝেও কিছু উপার্জন হলে,
দিনের শেষে ক্লান্ত বেশে বাড়ি আসি চলে।
রিকশা রেখে বাহির থেকেই ডাকিলাম, বধূয়া..
বধূয়া…, বেরিয়ে এসো রান্না করো
আজকে দু,জন খাবো খুবই মজা করিয়া।
বধূয়া আমার ডাকে দিলনা সাড়া
ভীষণ চিন্তা ঢুকিলো খারাপ লাগলো মনে,
আর কথা না বলে আমি গেলাম ঘরে
গিয়ে দেখি লক্ষীটা আমার চিরনিদ্রা ঘোরে,
সে আর জাগিবেনা জীবনে।
আমি চিৎকার করে কাঁদিয়া বলিলাম
ও গো বিধি বলো তোমার এ কেমন নিতি,
আমি কারে নিয়ে বাঁচবো
অবশেষে কেরে নিলে সঙ্গের সাথী?
নিয়তির কাছে হার মেনে যাওয়া আমি সেই রিকশাওয়ালা,
পড়ে আছি অনাদর অবহেলায় আমারও
ঘনিয়ে এসেছে বিবি র কাছে যাবার বেলা।
ভালো থেকো পৃথিবী, বলি
শোন পৃথিবীর যত সন্তান,
দোহাই দিলাম তোমরা কষ্টের
সাগরে ফেলনা মা বাবাকে
নষ্ট করনা তাদের সম্মান।